রহস্যের গোলকধাঁধা | Rahasyer Golakdhandha

বন্দর এবং শিল্পাঞ্চলের পরিবেশ PHT এই বনকে বাঁচিয়ে রাখারও দরকার আছে। কথাটা শুনে চন্দ্রনাথ বর্ধন চুপ করে রইল। ওর অদ্ভুত চোখদুটো দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে। Tt চন্দ্রনাথ বর্ধনকে লক্ষ্য করছিল ভালো করে। ও নিজের সমস্ত মনোযোগকে একত্র করে চন্দ্রনাথের চিন্তা-ভাবনা বুঝে নিতে চাইছিল। ওর মনে হল, চন্দ্রনাথ নিজের মনের কথা আড়াল করছেন। একটা বাঁকানো রিংয়ের মতো কুটিলতার vee খেলে গেল যেন চন্দ্রনাথের সারা শরীরে। চন্দ্রনাথ যে চেয়ারটায় বসেছিল, তার পেছনেই একটা.বড় মাপের আয়না ঝুলছিল দেওয়ালে | বদ্রী এতক্ষণ ওর পেছনদিকের দেওয়ালটার দিকে তাকায়নি। আয়নার প্রতিবিশ্বে ও একটা পরিচিত দৃশ্য দেখতে CHA সুন্দরবনের একটা খাঁড়ি। দুপাশে গভীর বন। সবকিছু ছাপিয়ে একটা বাঘের মুখ সারা দেওয়াল জুড়ে। বাঘটাকে অদ্ভুত দেখতে। না বাঘ, না মানুষ! নীল আর লাল রঙের মিশ্রণে চোখদুটো আঁকা | আয়নার প্রতিবিদ্বেই বষ্রী দেখতে পেল, উল্টোদিকের দরজাটা সামান্য ফাক হল। ঘরের ভেতরে একজন লোকের পেছন দিকটা দেখা গেল। চন্দ্রনাথবাবু বলল, জগন, তুমি কি বাইরে যাচ্ছ? জগনের সংক্ষিপ্ত উত্তর-_ হ্যা, AL!’ আয়নার প্রতিবিদ্বে বট্রী লোকটার ঠোঁট নাড়া দেখতে পেল। ব্্রী সার্চলাইটের মতো চোখ নিয়ে আয়নার দিকে দেখছে এখনও। লোকটা সামান্য ঘুরল। তারপর মুহূর্তের মধ্যে একপলক ড্রইংরুমের দিকে তাকিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিল। বষদ্্রীর সারা শরীরে শিহরণ খেলে গেল। AT বদ্রীর কোন ভুল হয়নি। সেই চোখ! যে চোখজোড়া কিছুদিন আগে সুন্দরবন অভিযানের সময় থেকেই ওদের অনুসরণ . করছে। | Aha শরীরটা কেঁপে উঠল অজানা আশঙ্কায়। চন্দ্রনাথ বর্ধন এতক্ষণ গভীর ভাবনায় ডুবে ছিল। কেদার মুজমদার aaa ভাবাস্তর দেখছিলেন। ইশাবায় প্রশ্ন ছুঁড়লেন কেদার। Jal ইশারায় দরজার দিকটা ইঙ্গিত করল। কেদার ঝট করে ঘুরে তাকালেন। দরজা ততক্ষণে TH হয়ে গেছে। বাইরে বের হবার দ্বিতীয় দরজাটা খোলার শব্দ পাওয়া গেল। কে যেন দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল। কী ভাবছেন কেদারবাবু? তাহলে আমি কী করতে চাই? প্রথমত আমি কতকগুলো জায়গা অনুসন্ধান করতে চাই। যেগুলো আমি দীর্ঘকাল গবেষণা চালিয়ে মার্ক করেছি। কিন্তু একার পক্ষে আমার সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। আপনার সাহায্য চাই। আপনি অভিজ্ঞ লোক। আমার অনুসন্ধান কাজে আপনাকে রাখতে চাই। আপনার প্রাপ্য পারিশ্রমিক আপনি পাবেন | এ ব্যাপারে * ১৮