যুগের মানুষ বিজয়কৃষ্ণ [সংস্করণ-২] | Juger Manush Bijoykrishna [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
& যুগের মাহুষ বিজয়ক্ক মহাজন রূপেই দেখিতে পাই। এইক্ূপ সাধু মহাজন এখনও এদেশে নানা তীর্থস্বানে রহিয়াছেন। গোস্বামী মহাশয়কে ইহাদের একজন বলিয়] মনে হয়। বড় কাঠিয়া বাবা, ছোট কাটিয়া বাবা, দয়ালদাস বাবাজী, ভোলা গিরি প্রভৃতি যে শ্রেণীর, গোস্বামী মহাশয়কে এই শ্রেণীর একজন সিদ্ধ পুরুষ বলিয়াই এই সকল গ্রদ্থে দেখিতে পাওয়া যায়। গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে ইহাদের কোনও প্রকারের তুলনা Sal অসঙ্গত হইবে। অনেকের সঙ্গে গোস্বামী মহাশয়ের পরিচয় আমত্মীয়তাও ছিল ; গোস্বামী মহাশয় Fatwa প্রতি সর্বদা অক্বত্রিম ভক্তি প্রদর্শন করিতেন । ইঁহারাও গোস্বামী মহাশয়কে অতিশয় শ্রদ্ধা ও প্রীতি করিতেন। ইঁহাদের পরস্পরের মধ্যে কোনও প্রকারের তুলনা করিবার চেষ্টা, বিশেষতঃ গোস্বামী মহাশয়ের অহগতদ্বিগের পক্ষে, অত্যস্ত অপরাধের কথা হইবে | কিন্ত এ অপরাধ না করিয়াও এ কথা বলা যাইতে পারে, যে গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে ইহাদের অনেক প্রভেদ ছিল । প্রথমতঃ, গোস্বামী মহাশয় যে পথে চলিয়া ক্রমে ব্রজের পথ ধরিয়াছিলেন, এ সকল সাধু মহাজনের] সে পথে চলেন নাই। গোস্বামী মহাশয়ের পথ আমাদের অনেকটা পরিচিত। ছোট sa বাবা, বড় কাঠিয়া বাবা প্রভৃতি বা মহাত্মা ভোলাগিরি যে পথে সিদ্ধি লাভ করেন, সে পথের খোঁজ-খবর আমরা জানি না। সে পথ আধুনিক যুগের প্রশস্ত পথ নহে। তাহা মধ্যযুগের হিন্দুসাধনার কঠোর পথ। কাটিয়া বাবা প্রভৃতির সাধন-পদ্থার সম্পূর্ণ মর্্যাদা করিয়াও এবং তাহারা এই 'পথে যাইয়া যে সিদ্ধি লাভ করেন তাহ অমূল্য দেবদুল্লঙ বস্তু, ইহা স্বীকার করিয়াও এ কথা নিঃমঙন্কোচে নিবেদন করিতে পারা যায়, যে আমাদের বর্তমান যুগের সঙ্গে এই মধ্য-যুগের সাধন] এবং সিদ্ধি সম্পূর্ণ খাপ খায় না। এইজন্ত এ সকল সাধু-সস্তের চরণে প্রণাম করিয়া কহিন, যে তাহারা ঠিক আমাদের যুগের মাহ্য নহ্েনে। কিন্ত



Leave a Comment