কবিকণ্ঠ ও কলের গান | Kabikantha O Kaler Gan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ফ্যাটালগ হতে তথ্য সংগ্রহ ও বিন্যস্ত করবার কাজ করতাম, সঙ্গে সঙ্গে আনন্দবাজার, মনহৃতবাজার, শনিবারের চিঠি, গল্পভারতী প্রভৃতি নানা পত্রপত্রিকায় যোলটি প্রবন্ধ লখেছিলাম | সেই, সব প্রবন্ধ পড়ে অনেকে চিঠি দিয়েছেন, সাক্ষাতে আলোচনা করেছেন, বিশ্বভারতীর সঙ্গেও পত্রালাপ চলেছে, কয়েকবার শান্তিনিকেতনেও পিয়েছি। “কবিকণ্ঠ' গ্রন্থের প্রথম ভাগে রেকর্ডিং- এর আনুপূর্বিক ইতিহাস ও কবিকণ্ঠের রেকর্ড তালিকা দিয়েছিলাম যাতে তাঁর কণ্ঠে বন্দে মাতরম গানের রেকর্ডের বিষয়ও প্রায় ষাট বছর পরে সম্পূর্ণ বিস্মৃতির অন্ধকার থেকে “আবিষ্কৃত' হয় । এই 'অংশ বাদে রেকর্ড তালিকার মধ্যে তিন-চত্ুর্থংশেরও বেশি গ্রামোফোন কোম্পানীর রেকর্ড “হিজ মাস্টার্স ভয়েস' ও 'কলম্বিয়া' লেবেলে | তার তালিকা সম্পূর্ণ করেছিলাম । হিন্দুস্থান, মেগাফোন, সেনোলা, পাইওনীয়র, ভারতী প্রভৃতি অন্য প্রাইভেট লেবেলের সব CPCS তৈরী হতো গ্রামোফোনের দমদম কারখানায় । আর সেখানেই, ছিল আমার কর্মস্থল | প্রাইভেট লেবেলের মালিকেরা প্রায় সবাই ছিলেন গ্রামোফোনের ডীলার | তাই তাদের সঙ্গে আমারও পরিচয় ছিল | তাঁদের দপ্তরে পুরাতন খাতাপত্র দেখতে বা তাদের ক্যাটালগ আনতে আমার যেতে হতো “কবিকণ্ঠ' গ্রন্থের রেকর্ড তালিকা সংকলনের জন্য । আমার প্রবন্ধগুলি পড়ে যারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে শ্রীযুক্ত কল্যাণবন্ধু ভট্টাচার্য বাইরের এ সব প্রাইভেট লেবেলের রেকর্ড কোম্পানীতে যাতায়াতের কাজে আমায় সহায়তা করতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন ৷ ক্যাটালগ শের প্রফ সংশোধনেও আমায় সহযোগিতা করেন | প্রকাশককে বলে তার জন্য তাকে পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম | এই স্লনেহভাজন তরশ বস্মুটিকে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করবার জন্য আমি আমার গ্রন্থের সহমোগী. ages হিসাবে তাঁর নামও দিয়েছিলাম । কিন্তু মূল কাজটা যে আমি একাই করতাম, এ বিষয়ে যাঁরা জানতেন সবাই তা লিখেছেন ৷ ‘ates গ্রন্থের ভূমিকায় আচার্য প্রবোধচন্দ্র সেন এবং গ্রন্থ-সমালোচনাকালে KTS ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধায়, পুলিনবিহারী সেন, রাজ্যেশ্বর মিত্র (শার্গদেব), প্রাণতোষ ঘটক (মাসিক বসুমতীর সম্পাদক), অমৃতবাজার পত্রিকার প্রতিবেদক, 'বিশ্ববীণা' সম্পাদক শ্রীযুক্ত অমিতাভ ঘোষের নেওয়া সাক্ষাৎকার এবং জরাসস্ধের পত্র সমূহেও তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে | বর্তমান গ্রন্থের পরিশিষ্টে তার কিছু কিছু তুলে দিয়েছি | প্রবোধচন্দ্র 'কবিকঠে'র ভূমিকা লিখেছিলেন বিশ্বভারতীর তখনকার উপাচার্য শ্রদ্ধেয় সুধীরঞ্জন দাস মহাশয়ের অনুরোধে | আমি যখনই শান্তিনিকেতন যেতাম



Leave a Comment