চল মন বৃন্দাবন | Chalo Mon Brindaban

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ চল মন বৃন্দাবন দূরে যাচ্ছে। কিন্তু একথা বিশ্বাস করি যে দূরে যাবার জন্য এবং সম্মানজনক পদপ্রাপ্তির জন্য সে আমাদের কোনদিন ভুলে যাবে না। যাতে ভুলতে না পারে, ভুলতে না দেয়, সেইজন্য আমি তাকে এই গরীব বান্দার একটি যৎসামান্য উপহার দিচ্ছি। যৎসামান্য হলেও দিতে সাহস করছি এইজন্য যে উপহারের দ্রব্যমূল্যের Grats একটা মূল্য আছে, সেটা তার নিজস্ব। সেই মূল্য অস্তরের স্পর্শে মূল্যাতীত। সুতরাং....এই বলে বুরাহন তার অঙ্গরাখার আড়াল থেকে ক্ষুদ্র একটি পেটিকা বের করল। সকলে দেখল সেই পেটিকার বহিরঙ্গ বহু মূল্যবান হীরকখচিত। সেই পেটিকা উন্মোচন করে তার ভেতর থেকে একটি হস্তুলিখিত ক্ষুদ্র কোরাণ বের করে পেটিকাসহ সেই কোরাণটি সে জালালের হাতে অর্পণ করল। সমবেত অতিথিরা এক সঙ্গে সকলে সাধুবাদ দিয়ে উঠল। জালাল সেই ধর্মগ্রন্থকে বহু শ্রদ্ধাভরে নিজের বুকে চেপে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেকে যথাসাধ্য তাদের উপহার বের করে জালালের সামনে পাত্রটির উপর রাখল। স্বর্ণখচিত ছুরিকাবরণ থেকে সুলতানি মোহর পর্যন্ত বহুপ্রকার উপহারের স্তূপ জমে উঠল। রিহান আর চমনলাল ওরা দুজনেও প্রস্তুত হয়ে এসেছিল। চমনলাল তার উপহার রাখল-_একটি হস্তীদস্তনির্মিত were ofS তার গাত্রাভরণ স্বর্ণালঙ্কারভৃষিত। সেই স্বর্ণলঙ্কারের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মূল্যবান প্রস্তর বসানে। WHAT হাতে একটি দর্পণ। দপপণের মুখে বোধহয় AGS বসানো, কারণ তা এত স্বচ্ছ যে তার উপর wea মুখচ্ছবি ফুটে উঠেছে। সকলে একবাক্যে তার তারিফ না করে পারল না। জালাল নিজে ও অভিভূত Be | এবার এগিয়ে এল রিহান। সকলের কৌতূহল বাড়ল, কারণ রিহানও বাণিজ্যে গিয়েছিল | হস্তীদস্তনির্মিত VAM মূর্তিটি চমনলাল গুঝরাটের বন্দর থেকে কিনে এনেছিল। বিহান দিল দক্ষিণভারত থেকে আমদানী করা নারকেল মালার উপর মুল্যবান পাথরের কাজ করা একটি ফুলদানী। নারকেলের মালাও মূল্যাতীত মূল্যের হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সকলে একদৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিযে থাকল। দর্শকেরা একবার সেই ফুলদানী একবার সেই wars মুর্তির দিকে তাকাতে লাগল। অনেকক্ষণ তাকিয়ে দেখবার পর তাদের বিস্ময়ের ঘোর অনেকটা কেটে গেলে SAT খা উঠে দীড়াল। সকলে কৌতূহলী হয়ে তার দিকে তাকাল। সঙ্কোচতরা পাতে ভূষণ ধীরে ধীরে জালালের কাছে এগিয়ে গেল, তারপর সমবেত অতিথিদের দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি অত্যন্ত অভাজন। fag sacs আমার কিছু নেই কিন্তু হৃদয়কে যদি এঁশ্বর্য্য বলা যায়, তবে আমি সেই হৃদয়ের সামান্যতম অর্ঘ্য এনেছি আমাদের বিদায়ী বন্ধুর জন্য। এই বলে'সে ছোট্ট একখণ্ড কাগজ বের করল। সকলে চোখে গাঢ় কৌতূহল টেনে ভূষণ খাঁর দিকে তাকিয়ে থাকল। তুষণ তার সেই কাগজখানি চোখের সামনে ধরে পাঠ করতে লাগলঃ “দোস্তের মহিমা বন্ধু কহিতে পায় সুখ-_ জালালের মহিমা অপার সবে পঞ্চমুখ। শুন কহি বন্ধুবৃন্দ জালালের প্রেম, নিগৃঢ় নির্মল প্রেম যেন দগ্ধ হেম।



Leave a Comment