বহুবিচিত্র | Bahubichitra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
sonora’ দিশী বেশ ধারণ করেছে-_-বাক্স তোরঙ্গ প্যাটরা চাঙারি চতুর্দিকে ছড়ানে। ফিরিঙ্গী কখন কোথায় নেবে গিয়েছে টের পাইনি । তার খাবারের চাঙারিটা রেখে গিয়েছে--এক টুকরে৷ চিরকুট লাগানে) তাতে লেখা ‘aw লাক ফর দি ae জানি ॥ ফিরিঙ্গী হোক, সায়েব হোক, তবু তো কলকাতার লোক-- তালতলার cate! এ তালতলাতেই ইরানী হোটেলে কতদিন খেয়েছি, হিন্দু বন্ধুদের মোগলাই খানার কায়দাকানুন শিখিয়েছি, স্কোয়ারের পুকুরপাড়ে বসে সাতার কাটা দেখেছি, গোরা সেপাই আর ফিরিঙ্গীতে মেম সায়েব নিয়ে হাতাহাতিতে হাততালি দিয়েছি। আর বাড়িয়ে বলব all এই তালতলারই আমার এক দার্শনিক বন্ধু একদিন বলেছিলেন যে এমেটিন ইনজেকশন নিলে মানুষ নাকি হঠাৎ অত্যন্ত স্যাৎসেতে হয়ে যায়, ইংরিজীতে যাকে বলে “মডলিন--তখন নাকি পাশের বাড়ির বিড়াল মারা গেলে মানুষ বালিশে মাথা গুজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদে। বিদেশে যাওয়া] আর এমেটিন ইনজেকশন নেওয়] প্রায় একই জিনিষ। কিন্তু উপস্থিত সে গবেষণা থাক্‌--ভবিষ্যতে যে তার বিস্তর যোগাযোগ হবে সে বিষষে কোনো সন্দেহ নেই | ভোর কোথায় হুল মনে নেই | জুন মাসের গরম পশ্চিমে গৌর- চন্দ্রিকা করে নামে না। সাতটা বাজতে না বাজতেই চড়চড় করে টেরচা হয়ে গাড়িতে ঢোকে আর বাকি দিনটা কি রকম করে কাঁটবে তার আভাস তখনই দিয়ে দেয়। শুনেছি পশ্চিমের ওস্তাদরা নাকি বিলম্বিত একতালে বেশীক্ষণ গান গাওয়া পছন্দ করেন না, দ্রুত তেতালেই তাদের কালোয়াতি দেখানোর শখ। আরো শুনেছি যে আমাদের দেশের রাগরাগিণী নাকি প্রহর আর aga বাছবিচার করে গাওয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যায় আমার মনে আর কোনো সন্দেহ রইল না যে পশ্চিমের সকাল বেলাকার রোদ্দুর বিলম্বিত আর বাদবাকি দিন দ্রুত | ৫



Leave a Comment