প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস [খণ্ড-১] [ভাগ-২] [সংস্করণ-১] | Prachya O Pashchatya Darshaner Itihas [Vol. 1] [Pt. 2] [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পূর্ব-মীমাংস। £ প্রমাণসমূহ--জ্ঞানতত্ব গণের যে সন্বন্ধ, ব্যাপ্ডিও সেইরূপ একটি অব্যভিচারী, সত্য ও স্থায়ী সম্বস্ধবিশেষ-- ইহাই প্রাভাকর-সম্প্রদায়ের মত। স্থান ও কালজনিত যে পরিচ্ছিন্নতা কার্যাদির সহিত জড়িত, ইহাকে তাহা হইতে সম্পূর্ণ যুক্ত করিলে ইহ] একপ্রকার সার্বিক সামান্তীকরণের পর্যায়ে উপস্থিত হয়। ব্যাপ্তিজ্ঞানে সাধ্য ও হেতু এই ছুইটির বোধ মুখ্য, এবং তাহাদের ও তাহাদের সহিত জড়িত স্থান ও কালের পারস্পরিক সম্পর্ক ct) এইগুলিকে কিন্তু পরস্পরের সহিত অস্বিত করা যায় না। পর্বতে ধূম দেখিলে অগ্নির অবস্থান অহমান করা যায় বটে, কিন্তু এই অনুমান হইতে অজ্ঞাতপূর্ব কোন কিছুর জ্ঞান হয় না। ইহাই প্রাতাকর-সম্প্রদায়ের মত। তাহাদের যুক্তি হইল এই যে, এখানে অনুমানের বিষয় নূতন কিছু নয়; ইতঃপুর্বেই প্রত্যক্ষীকরণের দ্বারা যে সামান্তজ্ঞানে আমর| উপস্থিত হইয়াছি, এই বিষয়টিও তাহারই অঙ্গীভূতমাত্র। তথাপি বলিতে হইবে, অহ্‌মান সিদ্ধ; কারণ ইহা স্মৃতি নহে। প্রাভাকর-মন্প্রদায় বলেন যে, প্রমাকে যে অজ্ঞাতপূর্ব বিষয় উপস্থাপিত করিতেই হইবে, এক্ূপ কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই । arate যে অভিজ্ঞতা তাহাকে ভাহারা গৃহীত-গ্রাহী বা পুনরভিজ্ঞতা” শব্যের দ্বারা অভিহিত করেন। ইহা হইতে জ্ঞানের অগ্রগতি স্চিত না হইলেও এটুকু বুঝা যায় যে, একটির জ্ঞান হইতে তাহারই সহিত অব্যভিচারী তাবে MAS আর একটির জ্ঞানে উপনীত হওয়া চলে। ব্যাপ্ডিজ্ঞানের পক্ষে সাধ্য ও RET একবার দর্শনই যথেষ্ট। তূয়োদর্শনের প্রয়োজনীয়তা এইটুকু যে, উহা হইতে আমরা দেখাইতে পারি যে, প্রত্যক্ষীকরণের দ্বারা যে সম্বন্ধ আমরা জানিতে পারিয়াছি তাহা কোনও ate ঘটনার দ্বারা সাধিত হয় নাই [>> এইবার শব্দ বা মৌখিক প্রামাণ্যের কথায় আসা যাক। শব্দজ্ঞানের উপর নির্ভর faa জ্ঞানেন্ত্রিয়ের সহিত সংযোগ নাই এমন কোনও বিষয়ের জ্ঞান যাহা উৎপন্ন করে, তাহাই শাস্ত্র বা বৈদিক শব্ধ। উপবর্ষ শাস্ত্র বা বৈদিক-শব্দের aay লক্ষণই দিয়াছেন 1১২ বৈদিক ও অবৈদিক দ্বিবিধ শব্দকেই কুমারিল প্রমাণ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন, স্তরাং তিনি উক্ত লক্ষণ এই দ্বিবিধ শব্দের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করিয়াছেন। প্রভাকর অবৈদিক শব্দের free) স্বীকার করেন না; তিনি মনে করেন, বৈদিক শব্দই প্রকৃত শব্দ-প্রমাণ। কুমারিল এবং প্রভাকর উতয়েই শাস্তরকে- বেদ, স্বতি, আচারকে--অতিপ্রাক্কত seta প্রমাণ বলিয়া গ্রহণ করেন ।১০ নৈয়ায়িক ও বৈদাস্তিকগণের মতে বেদসমূহ ঈশ্বরের ee মীমাংসকগণ কিন্ত মনে করেন যে, CHAIR স্বয়ংপ্রকাশ এবং কোনও প্রাকৃত বা অতি প্রাকৃত পুরুষের রচন| নহে। যদি বেদসমুহ পৌরুষেয়, অর্থাৎ কোনও পুরুষকর্তৃক রচিত হইত, তাহা ৩১৯



Leave a Comment