আগ্নেয়গিরি | Agneyagiri

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ আগ্নেয়গিরি অকস্মাৎ হাতের ক্লমটা পড়িয়া গেল। কি-যেন একটা শব্দে ভয় পাইয়াছি, সর্ববশরীরে কাঁটা দিয়া উঠিল। পথের দিক্কার দরজাটা খুলিয়| বাহিরে আসিলাম। বাতাস বহিতেছিল, আকাশে বড় বড় তারা। উপরে ছাদের পাচিলে টাদ ঢাকা পড়িয়াছে, জ্যোৎস্নায় চারিদিক স্বপনলোকের মতো দেখিতেছিলাম। কোথাও কাহারও সাড়া নাই, কেবল নিকটের একটা বাজারের ভিতর কয়েকজন লোক ডুগি বাজাইয়| গান ক্রিতেছিল। দরজা হইতে গলির পথে মামিলাম, সরকারী আলে এদিকে নাই। এই বাঁড়ীটা যেন কোন-এক জমিদারের। উত্তর হইতে দক্ষিণে প্রকাণ্ড বিস্তৃত চারিতলায় অসংখ্য খণ্ড খণ্ড পরিবার ভাড়া থাকে । কলিকাতায় এমন একটি বাড়ী যাহার আছে তাহাকে আমরা ধনী বলিয়। থাকি। যাহা হউক, এখানকার বাসিন্দারা একজন আর একজনকে চিনে না, কাহারও সহিত কাহারও সংস্পর্শ নাই। আমি এই বাড়ীর সর্ব্বশেষ প্রান্তের নীচের তলায় একটি ক্ষুদ্র ঘর ভাড়া লইয়াছি। সাত টাকা ভাড়া দিই | এদিক ওদিক তাকাইয়া দেখিলাম, দোতালার কোণে একটা ঘরের ভিতর হইতে আলোর ক্ষীণ একটি রেখা জানলার খড়খড়ির ফাকে পড়িয়াছে। বুঝিলাম শব্দটা ওখানকার! আমি জানি একটি ক্ষুদ্র পরিবার ওই ঘরটিতে ভাড়া থাকে । কাঠের সিডি দিয়া উহার আমারই ঘরের স্মমুখ দিয়া দিনের বেল যাতায়াত করে তাহা! লক্ষ্য করিয়াছি। যুবক্টির চাকরি-বাকরি নাই,



Leave a Comment