শংকর কিশোর রচনা সমগ্র | Shankar Kishor Rachana Samagra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ কের কিশোর রচনা সমগ্র “লেখক জানলে বিয়েই করতাম না,” ঠাকুমা সোজাসুজি উত্তর দিলেন। “বিয়ের আগে তুমি তো শুধু পদ্য লিখতে | ছোট-ছোট জিনিস, বেশি ছুজ্জুত নেই। তারপর এই ছেলেদের লাইনে এসে তোমার কী যে দুর্মতি হলো। কখনও কিছু বলবার উপায় নেই-_সব সময় প্লটের মধ্যে ডুবে আছো।” টেকো-ভদ্রলোক এবার দাদুর পক্ষে যাবার চেষ্টা করলেন। বললেন, “দাদার যে আবার সব স্পেশাল প্লট! একটু বেশি খাটাখাটনি করতে হবেই-_কলেজ স্টিট থেকে সাধে কি আব ওঁকে শিশু সাহিত্যসম্রাট টাইটেল দেওয়া হয়েছে।” “রাখুন-রাখুন!”” এই বলে বিরক্ত ঠাকুমা এবার পিকলুর ঘরে চলে এলেন। “বউদির মেজাজ আজ এতো চড়া কেন,” এখনও ভদ্রলোক বুঝতে পাবেননি। ভবনাথ সেন গড়গড়ায় সামান্য টান দিয়ে বললে, “তোমার বউদির দোষ নেই। প্রায় এক সপ্তাহ হলো পিকলু এসেছে, অথচ এখনও পর্যন্ত কলকাতা শহরের কিছুই ওকে দেখানো হলো AT” “ভুলুর ছেলে! বন্বে থেকে এখানে এসেছে?” টেকো-ভদ্রলোক বেজায় খুশি হলেন। দাদুর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ রেখে তিড়িং করে ভদ্রলোক এবার ভিতরের ঘরে চলে এলেন! ঠাকুমা আলাপ করিয়ে দিলেন পিকলুর সঙ্গে, “তোমার দাদুর বন্ধু-_হরিময় চৌধুরী” হরিময়বাবু হুঙ্কার ছাড়লেন, “তোমাদের সঙ্গে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়তা আছে। কিন্তু সেটা আমি বলে বেড়াই না এই জন্যে যে দুর্জনেরা বলবে সাহিত্যিক ভবনাথ সেন শুধু আত্মীয়তোষণ করছেন। পর পর তিনখানা সম্পূর্ণ উপন্যাস আমার কাগজেই ছাপা হয়েছে।” ঠাকুমা বললেন, “WA ছেলের নাম পিকলু।” “খুউব বুঝতে পারছি-_খুউব ছোটবেলায় যখন তুমি এসেছিলে তখন রিকশ চড়ে দু'জনে খুউব ঘুরেছি।” “তখন যে পিকলু খুব রিকশ চড়তো তা মনে CSI” ঠাকুমা বললেন, 'রিকশ চড়লে তোর আর কিছু ভালো লাগতো না। তোর কান্নাকাটি এই দাদুই সামলাতো।” ঠাকুমা এবার অতিথির জনো চায়ের জল চাপাতে গেলেন। হরিময়বাবু বেজায় খোশমেজাজে একখানা বেতের মোড়া টেনে নিয়ে পিকলুর পাশে বসে পডলেন। জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার ভাল নামখানা যেন কী?”



Leave a Comment