বৈবস্বত | Baibaswata

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নতুন পদবি লিখতে শুরু করল রায়চৌধুরী, বন্ধুরা মুখ টিপে হাসাহাসি করল কয়েক দিন। কেউ কেউ ইয়ারকি করে বলল, “তোদের দু'জনের পদবিটা একে অপরের সঙ্গে ভাল ফিট করেছে কিন্তু। মনেই হয় না যে, এটা দুটো জুড়ে একটা।' বিয়ে করল বটে, তবে তখনই দু'জনের একসঙ্গে থাকতে শুরু করা হয়ে উঠল না। বিয়ের দিন কয়েকের মধ্যে দেবদত্ত পুরনো কোম্পানি ছেড়ে দিল। নতুন যে কোম্পানিতে সে জয়েন করল তারা ওকে পোস্টিং দিল চেন্নাইতে। অবশ্য পদোন্নতি ঘটল সেখানে এবং বেতন ইত্যাদিও বেড়ে গেল অনেকটা। 'আমার জীবনে তুমি দেখছি ভীষণ পয়া' বলে দেবদত্ত সুটকেস গুছিয়ে চলে গেল চেন্নাই, শ্রীমতী রয়ে গেল কলকাতায় বাপের বাড়িতে, এম.এসসি পড়তে। চিঠি আজকাল কেউই লেখে না, দেবদত্ত-শ্রীমতীও লিখত না। তবে, টেলিফোন করত প্রচুর। দেবদত্তের টেলিফোন খরচ জোগাত তার কোম্পানি। এদিকে, কলকাতায় শ্রীমতীর বাপের বাড়িতে পরিস্থিতি অন্য রকম, বেশ কিছুদিন হল বাবা রিটায়ার করেছেন। মাস দুয়েক পরে যখন টেলিফোন বিল এল তখন তাতে টাকার অঙ্ক দেখে শ্রীমতীর বাবার Report উপস্থিত হল। শ্রীমতী লজ্জা পেয়ে গিয়ে বলে বসল, টিউশনি করে টেলিফোনের টাকাটা সে-ই দেবে। তাতে এবার বাপ লজ্জিত হয়ে উঠলেন। কলকাতায় দেবদত্তের কোনও আস্তানা ছিল না। সে মাসে-দেড় মাসে একবার করে কলকাতায় আসত, শ্বশুরবাড়িতে উঠত এবং প্রতিবারই আক্ষেপ করত যে, এভাবে কোম্পানির কোনও কাজ ছাড়াই বারে বারে কলকাতায় আসা তার কেরিয়ারের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াতে পারে। বউয়ের সঙ্গে দেখা করার তাগিদের পাশাপাশি কেরিয়ারের চিন্তায় স্বামী উতলা দেখে সামান্য মনখারাপ হয়ে যেত শ্রীমতীর। তবে. কলকাতায় এলে দেবদত্তকে যে শ্বশুরবাড়িতে উঠতে হত সে ব্যাপারটা কিছুদিন পর থেকে শ্রীমতীর আর ভাল লাগত না। এ যুগেও বিবাহিত পুরুষের নিজের ঘরদোর না থাকলে সেটা ভাল দেখায় না। তা ছাড়া, বাবার ১৮



Leave a Comment