কালের মাত্রা ও রবীন্দ্রনাটক [সংস্করণ-৩] | Kaler Matra O Rabindranatak [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সদ্যতন বাংলাদেশে বসে আমাদের অন্নভব করতে বাধ হয় না যে এই নিসর্গ সংসারে রবীন্দ্রনাথ আধুনিক যুগের এক নৃতন রিচুয়াল তৈরি aca নিতে চেয়েছিলেন, 'শারদোৎসব' এবং 'ফাল্গুনী'র মধ্য দিয়ে ক্রমে সেটা পৌঁছয় তার পালাগানে, বর্ষাবসন্তের নিত্যউৎসবে যে-নৃত্যগান স্পষ্টই আমাদের জীবনাঙ্গ হয়ে উঠছে আজ। এইভাবে, নাচগান আর কবিতার ব্যবহার রবীন্দ্রনাটককে জীবনের সমভূমি থেকে তুলে নেয় আত্মিক ভূমিতে, স্থতির আবহ তাকে টেনে রাখে সা্রতিকতা থেকে কিছু দূরে; কিন্তু এর কোনোটাই একে সত্য অর্থে দূরে ঠেলে দেয় না, বরং নিবিড়ভাবে ধরে রাখে দেশকালেরই বোধের মধ্যে । তাই প্রাচ্যদেশের সহজ সরল ক্রিয়াকর্ম খেলা-আনন্দ হয়ে ওঠে একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাট্যের বিষয় ও বিন্যাস, এইখানেই তাঁর নাটক খুঁজে পায় যথার্থ মুক্তি ৷ J) একদিক থেকে দেখলে WHS বলতে হবে যে একমাত্র রবীন্দ্রনাথই জেনেছিলেন বাংলা নাটকের সম্পূর্ণ স্বকীয় নাট্যবিল্যাস, তার লোকজীবনের সঙ্গে ঘন সম্পর্কে যোজিত এক নাট্যরূপ। সঙ্গে সঙ্গে এ-ও ঠিক যে এই ভক্কইং আবার স্পর্শ করে আছে প্রতীচ্যের আধুনিক পর্ব, এখনো পর্যন্ত তাকেই হয়তো বল যায় আমাদের দেশের আধুনিকতম নাট্যকার যা কিছু নাটুকেপণ| তার থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে নাটককে” এই হচ্ছে এক সাপ্রতিক gall আধুনিক বিদেশি নাটকে তাই আমরা নাটকের প্রচলিত গড়নকে ভেঙে পড়তে দেখছি বারংবার, এক-একটা দ্রুত পর্যাবসানের মধ্য দিয়ে আজ আ্যাবসার্ড বা উদ্ভট নাটকের জগতে এসে দপীাড়িয়েছি। লক্ষ করতে হবে যে আমাদের দেশে এই মুক্তির একটা ya তৈরি হচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের হাতেই | তাঁর নাটকের ইতিহাস আমাদ্বের দেখিয়ে দেয় কেমন করে তিনি বর্জন করছেন চল্তি চরিত্রের অথবা প্লটগঠনের ধারণা, কেমন করে স্থানকালের বিস্যাসকে ক্রমে নিবিড় এঁক্কযের মধ্যে ধরে এনে আবার টুকরে৷ করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, কিছু-বা এক্সপ্রেশনিস্ট ধরনে। ফাল্গুনী'*র মঞ্চবিহীন খোলামেলা অভিনয়ে যে তিনি দর্শক আর অভিনেতাদের মধ্যে অনায়াস যাগ খুজছিলেন অথবা প্রচলিত রীতির বাইরে এনে নাটককে জড়িয়ে নিচ্ছিলেন নাচগানের সম্মিলিত পার্বণে - এই সবই আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ করবার বিষয় | ১৮



Leave a Comment