শিক্ষার ভাবধারা, পদ্ধতি ও সমস্যার ইতিহাস | Shikshar Bhabdhara, Parddhati O Samasyar Itihas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ শিক্ষার ভাবধারা, পদ্ধতি ও সমপ্তার ইতিহাস বাহিক জ্ঞানকে সত্য বলে মনে করাই আত্মার বন্ধনের কারণ। সেইজন্য মুক্তির একমাত্র পথ হল বস্তজগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা এবং অস্তমুখী জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া | শিক্ষার ore; শিক্ষার লক্ষ্য তাহলে পরিষ্কার বর্ণনা করা যেতে পারে। বৰহির্জগৎ থেকে ইন্জ্য়গুলিকে অপসারণ করা এবং অন্তমু'খী জ্ঞানলাভ করাই যখন মুক্তির একমাত্র পথ তখন আমাদের মনকে সেইমত নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করাই হল শিক্ষার কাজ। Beara, আত্মসংযম ও মনন বা ধ্যান হল শিক্ষার অপরিহার্য পদ্ধতি | এই অভিনব শিক্ষাতত্ত্বের ওপর প্রাচীন ভারতের বিশেষধর্মী শিক্ষাব্যবস্থাটি গড়ে উঠেছিল । শিক্ষক কেবলমাত্র সেখানে জ্ঞানদাতাই ছিলেন না, তিনি মুক্তিদাতাও ছিলেন। উপনয়ন পর্বের সময়ে শিক্ষার্থী গুরুর কাছে জীবনের এই AMBIT সন্ধানের আমৃত্যু-ত্রত গ্রহণ করত। শিক্ষার প্রারঙ ভার দ্বিতীয় জন্মের onl করত। পিতামাতা তাকে দিয়েছেন শারীরিক জন্ম, শিক্ষক দিতেন তার আধ্যাত্মিক জন্ম। শিক্ষার্থীর কাছেও শিক্ষা নিছক জ্ঞান অর্জনই ছিল না। পরমকাম্য মুক্তিলাভের জন্য যে উন্নত শক্তির প্রয়োজন তাই আহরণ করাই ছিল শিক্ষা । এই শক্তি নিছক উপদেশ বা পুঁথিগত শিক্ষার মাধ্যমে আসে al কিংবা কোন বই বা শাস্ত্র পাঠে অর্জন Sal যায় না। এই বাষ্ছিত শিক্ষা আসে সেই পরম সত্তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ সাধনের মধ্যে দিয়ে। সেইজন্য সত্যকারের শিক্ষ! অর্জন করার বস্তু নয়। সত্যকারের শিক্ষা হল সমস্ত জীবন দিয়ে একটি AACS উপলব্ধি করা। এইজন্যই প্রাচীন ভারতে শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে গুরুর গৃহে বাস করাটা বাধ্যতামূলক ছিল। শিক্ষকের ক্ষেত্রেও শিক্ষার আদর্শ একই রকম ছিল। শিক্ষকতা তার কাছে কোন বৃত্তি a অর্থকরী vei ছিল না। পরমসত্তাকে উপলব্ধি করার যে জীবনব্যাপী সাধনা এটি তারই একটি অঙ্গমাত্র। তিনি যদি সত্যের সন্ধান পান, তবে অপরকেও সে সন্ধান দেওয়া তার কর্তব্যের অস্তর্গত। এই দেওয়াকে তিনি অন্থগ্রহ-গ্রস্থত দান মনে করেন না। এটা তার কাছে একটি পবিত্র কর্তব্য। বৃত্তিরপে শিক্ষকতা প্রাচীন ভারতে অজ্ঞাত ছিল। ব্যক্তির আত্মাকে উন্নত করে মুক্তির পথের AWA দেওয়াই অধ্যাপনার প্রধান লক্ষ্য ছিল। শিক্ষা ছিল শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়েরই মুক্তির পথ।



Leave a Comment