সহাস্য বিবেকানন্দ [সংস্করণ-২] | Sahasya Vivekananda [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
খোলা মাঠের মানুষটি বিবেকানন্দকে গোড়াতে ধরা ষাক তার খেলাস্থলে--কোনো রূপক-অর্থে নয়-_ একেবারে খাঁটি খোলা মাঠে | গোড়াতেই একটা চমকপ্রদ ছবি-_ বড় উঠেছে কালবৈশাখীর stem আকাশ ছি*ড়ে বঙ্জ্র-বিদ্যুতে মাতামাতি। পাক-খাওয়া পাগল জলের সঙ্গে হালের দাড়ের লড়াই | ছেলেটা হা-হা করে হাসছে, দাড়-ধরা হাতের পেশী ফুলে উঠছে আবেগে, ঘন চুলের রাশি এলোমেলো হয়ে উড়ছে বাতাসে, আকাশের বিদ্যুৎ নেমে জ্বলছে বিশাল চোখে, অন্য সকলে ভয়ে জড়োসড়ো, শুধু সেই ছেলেটির গলায় ঝড়ের গান । বিশ্বনাথ দত্ত গম্ভীর হয়ে পুত্রকে বললেন, “দক্ষিণেম্বরে যাবার অন্য রাস্তাও আছে, ঝড়ের সময়ে নৌকায় না গেলেও চলে । রাম তো গাড়িভাড়া করেই যায় । পুত্র নরেন্দ্রনাথ চুপ ক'রে শুনে চলে এলেন ৷ রাম দত্ত গাড়ি করে দক্ষিণেশ্বরে পরমহংস মশায়ের কাছে যায় ঠিকই-_সেটাই রাম দত্তের পথ-_ কিন্তু আমার-_ আহিরীটোলার ঘাটে আবার ঝড়ো সন্ধ্যার মুখে atte দত্ত উঠে পড়লেন নৌকায়-_-পরমহংসের কাছে যাবেন | এমনই বছ Vel এড়িয়ে পরমহংসকে অধিকার করতে হবে তাকে ৷ তা ছাড়া--এ আ্যাডভেঞ্চার ! সিমলার ডানপিটে ছেলে নরেন দত যে-গান রচিত হয়নি তখনও, সে গান হয়ত গাইলেন অন্য ভাষায়-_“মাজি ঝড়ের রাতে আমার অভিসার ।” সিমলার ডানপিটে ছেলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত। “বন্ধুদের প্রাণ, সামাজিক সম্মেলনের মধ্যমণি, নিঃসন্দেহে প্রতিভা-বলকিত, প্রেরণাদিব্য বোহেমিয়ান'--বললেন বন্ধু ত্রজেন্দ্রনাথ শীল ৷ জীবনটা নরেন্দ্রনাথের কাছে সজীব গভীর কিছু-_-অনস্ত ace আকুল সমুদ্রবিশেষ--তার হাসি, তার খুশি, তার খেলা, সে সকলই ও সাগরের রোদ্রচুস্বিত উধ্ব-তরঙ্গ | আবার বলছি--স্বামী বিবেকানন্দের যে-মৃতি আজ আমাদের সামনে ধরা আছে, তাতে কিন্তু মাঠের খেলার চিহ্ন নেই। যুগপ্রবর্তক মহাপুরুষ তিনি- তিনিও খেলার মাঠে নেমেছিলেন, সে মাঠকে ছাড়েননি জীবনের শেষ অবধি--এ কথাগুলো তার সম্বন্ধে বিস্ময়কর মনে হতে পারে অবশ্যই। আমেরিকা থেকে ফিরে এসে কলকাতার সংবর্ধনাসভায় স্বামীজী বলেছিলেন--'আমি কলকাতারই ছেলে; এখানকার যে-ধৃলোয় বসে খেলেছি আমি, তার উপর বসেই তোমাদের মঙ্গে Sep বলতে oa’ স্বামীজীর সে কথাগুলিকে আমরা! মনে করেছি সুন্দর ভাষণ, কিন্তু



Leave a Comment