রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্রসাহিত্য-প্রবেশক [খণ্ড-১] [সংস্করণ-৪] | Rabindrajibani O Rabindra Sahitya-prabeshak [Vol. 1] [Ed. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সাত বৎসর পরে, ১৯৬১ সালে, রবীঞ্ছ্রনাথের জন্মশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে তৎকালীন উপাচার্য ল্রীহবীরঞ্জন দাসের ব্যবস্থায় এই “কার্ড'গুলি পুনরায় পরীক্ষা করিয়া দেখিবার সুযোগ হয়। এক বৎসর এই কাজ চলে-- এই কাঙ্ে সাহায্য কয়েন Shay চট্টোপাধ্যায়, প্রীজয়স্তী রায়চৌধুরী, Sofa ঘোষ, শ্রীহননন্দা ঘোষ, Bai মুখোপাধ্যায়, Bet বিশ্বাস, Fela বিশ্বাস এবং শ্রীপ্লকৃতি ঠাকুর । প্রত্যেকটি কার্ডে রচনার শিরোনাম, অথবা গান হইপে তাহার প্রথম পংক্তি, রচনার স্থান ও কাল; প্রথম কোন্‌ পত্রিকায় প্রকাশিত, কোন্‌ sage, তাহার উল্লেখ এবং কোন্‌ কোন্‌ গ্রন্থাবলীর কোথায় উহাদের স্থান, রবীন্দর- রচনাবলী ও স্বয়বিতানের কোন্‌ কোন্‌ খণ্ডে মুদ্তিত-_ তাহার বিস্তারিত নির্দেশ দ্বিবার চেষ্টা করিয়াছি। পত্র হইলে কাহাকে লিখিত, কোথা হইতে লিখিত, কবে লিখিত, কোন্‌ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত, চিঠিপত্র পর্যায়ের কোন্‌ খণ্ডের অন্তভুক্ত ইত্যাদি তথ্য ছাড়াও পত্রের বিষয়বস্তু চুম্বকাকারে প্রদত্ত হইয়াছে। প্রসঙ্গত বলি, সন-তারিখ-বার সম্বদ্ধে রবীজ্ত্রনাথের দৃষ্টি খুব সঙ্গাগ ছিল না। কখনো Sac সে কথা পত্রমধ্যে স্বীকার করিয়া লিখিতেন-- “তারিখ জানি না", কখনো বা আন্দাজে তারিখ বসাইয়] দিতেন । সেই-সব ক্ষেত্রে গবেষকদ্বের যে কী পরিমাণ অসুবিধায় পড়িতে হয় তাহা সহজেই অনুমেয় | কিছুকাল পরে মামি আমার বাক্তিগত দায়িত্বে রবীন্দ্রভবন হইতে কার্ডগুলি আনাইয়া পুনরায় পরীক্ষা করিতে থাকি এবং কপি করিয়া] লই । তার পৰর্‌ অনুলেখক নিযুক্ত করিয়া বছ ব্যয়ে সেইগুলি কপি করাই; ফুলস্ক্যাপ আকারের বাইশথানি খাতায় ১৯১২ সাল, অর্থাৎ কবির বিদেশ-যাত্রা পর্যন্ত, তথ্য লিপিবদ্ধ হইয়াছে | প্রসঙ্গত বলি, এখনও Twa নূতন তথ্য পাইপে যথাযথ স্থানে সন্নিবেশিত করিয়া রাখিতেছি। Fwy বিষয়, ১৯১২ সালের পর আর কাজ অগ্রসর হয় নাই। আমার মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের জীবনের ঘটনাবলীর ও তাহার রচনাবলীর stateahe wy প্রণয়নের ay Wasa একটি স্থায়ী প্রশাথা গঠিত হইলে রবীঙ্দ্রজীবনীর সার্থক রূপায়ণ হইবে। আমি তাহার সু্চনামাত্র করিয়াছি । Methodology দার্শনিক পরিভাষার sa: আমাদ্বের মতে সাহিত্য বা সাহিতাকের জীবনী -আলোচনায় এই দার্শনিক তথা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অনুসরণ আবশ্যিক ও অপরিহার্য । জীবনী-সংকলন-কালে ঘটনাবলী ও রচনাবলী যথাযথ স্থানে বিন্যস্ত না হইলে, তাহা বিকৃত হইতে ater) রলবীজ্ঞনাথ বা কোনো সাহিত্যিকের নানা বয়সের নান] রসের বিচিত্র রচনা] ava করিয়। সমালোচকগণ যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন-- তাহাকে এঁতিহানমিক বা বৈজ্ঞানিক সুবিচার বলিয়া অভিনন্দিত করিতে পারিব না। কবির আঠারো বৎসরের রচনার সহিত, আটত্রিশ, আটান্ন, আটাত্তর বংসর বয়সের রচনার গুণগত, HANG, ভাবগত পার্থকা আছেই-_ ভাবনার ক্রমবিকাশ বুঝিবার পক্ষে তাহাদের আলোচনা সার্থক হইতে পারে, কিন্তু তাহার ava ছারা কবির কোনো সার্থক রূপ ফুটিয়| উঠিবে না। আমরা জানি, কবির কৈশোরের উচ্ছ্বাসপূর্ণ রীতাবলির ache উদ্ধত sft acer তাহাকে লজ্জিত করিবার অপ- প্রয়াস হইয়াছে । আমাদ্ষের মতে যে-বয়সের যে-রচনা, যে-পরিবেশের যে-রচনা, তাহাকে সেই দেই কালের পরিপ্রেক্ষিতে মালস্ুচীমতে বিচার করিতে হইবে । ১৮৮০-৮১ সালের উনিশ-বিশ বৎসর বয়সের রচনা 'মন্ধাসংগীত'কে সেই কালের পরিবেশের দৃষ্টিতে আলোচনা করিব। সেইজন্য আমরা এই জীবনীখণ্ডে 'সন্ধাসংগীতে'র আলোচনাকালে 'ভারতী' পত্রিকার প্রথম পাঠ অথবা প্রথম-সংস্করণের (১৮৮২ ) পাঠ গ্রহণ করিয়াছি; পরিপূর্ণ যৌবনে, প্রৌঢ়ে বা বাধকো্যে এই কবিতাগুলির যে-পরিমাদ্জিত রূপান্তর ঘটাইয়াছিলেন তাহার আলোচনা] করি নাই। সে আলোচনার ধারা eH, সে আলোচনায় কাবোর অভিবাক্তি vss হইবে, অথবা বয়োবুদ্ধির মঙ্গে সঙ্গে একটি বিশেষ রচনা বা বিষয়ের প্রতি লেখকের মনোভাব কিভাবে রুূপাস্তরিত হইতেছে সেই বিষয়ে তব্বমূলক গবেষণার তথ্য পাওয়া যাইবে, কিন্তু বিশ বৎলর ANAT তরুণ অশান্ত কবিকে পাওয়া যাইবে না। [>]



Leave a Comment