ভারত-জিজ্ঞাসা | Bharat-jigyasa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“যজ্ঞার্থাৎ কর্মণোইন্তত্র লোকোইয়ং ক্র্মবন্ধন: | wads কর্ম কৌস্তেয় মুক্তমঙ্গঃ সমাচর ॥” ( ৩৯ ) বিষ্ণুর পীতির aw যে কর্ম অনুষ্ঠিত হয়, উহা ব্যতীত আর মকল কর্মই THAT হেতু হয়। অতএব হে কৌস্তেয়! তুমি অনাসক্ত Leal ভগবানের উদ্দেশ্যে কর্ম কর। এই কর্মের যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে, তবে তাহা লোকমংগ্রহ। লোক- গ্রহ কি? মানুষকে পাপ বা অকল্যাণের পথ হইতে নিবৃত্ত sian পুণ্য বা কল্যাণের পথে প্রবৃত্ত কর|া। ভগবান অজুনকে বলিয়াছেন---লোকমংগ্রহের GIS তোমার কর্ম করা উচিত', “যথার্থ জ্ঞানী ব্যক্তি আসক্তিবিহীন হইয়া লোকসংগ্রহের জন্য কর্ম করেন? ইত্যাদি। আমাদের কর্মের ফল কত স্দূর-প্রদারী, তাহা আমরা অনেক সময় foe করি না, কিন্তু সত্যই আমরা আমাদের কর্মের দ্বারা অপরকে মৎপথে কিংবা অসংপথে প্রবর্তিত করি। তাই গীতার নির্দেশ এই প্রত্যেক Rs এমনভাবে কর্ম করিতে হইবে যেন অপরে তাহার অনুসরণ করিয়া “সর্বোত্তম মঙ্গল' লাভ করিতে পারে। মানুষ যখন কল্যাণবুদ্ধির দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়] কর্ম করে, তখনই সে সমাজের যথার্থসেবক । যেখানে কল্যাণবুদ্ধি জাগ্রত, সেখানে WAI সকল কর্মে পরস্পরের সহায় হয়। গীতায় শ্রীভগবান ব্লিয়াছেন-_ 'পরম্পরং STATS? CHAE পরমবাপস্তযথ |? ৩১১ পরস্পরের ভাবনার দ্বারা পরম শ্রেয়কে তোমরা লাভ করিবে। অব্য, পরস্পরের ভাবনা বলিতে ভগবান বুঝিয়াছেন,__দেবতাগণ ও মনয্বগণের পারস্পরিক কল্যাণ Stat) কিন্তু ভগবানের উক্তির মধ্যে আর একটি ইঙ্গিতও প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। সে ইঙ্গিতটি এই, সমাজে যাহারা অভিজাত বা উচ্চ মর্ধাদায় প্রতিষ্ঠিত, তাহার] জনসাধারণের কল্যাণ কামনা করিবে এবং জনসাধারণও শারীরিক শ্রম প্রভৃতির দ্বারা সমাজের শীর্ষস্থানীয়দিগকে রক্ষা করিবে। কেননা, প্রত্যেকটি মানুষ সমাজরূপ দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। অতএব ৮



Leave a Comment