রঙ্গরাগ [সংস্করণ-১] | Rangarag [Ed. 1]

ধীরেশ দাদার মুখের ওপর কিছু বলতে পারে al) মাসে একশ পঁচিশ টাকা দিতে রাজী হয়। রাজী হবার আর একটি কারণ, বীরেশ যে হোটেলে নিজে বেরুতে চায় নি, এতেই ও খুশী । হোটেল ওর একার | ওখানে অল্য কোন তাইয়ের উপস্থিতি nw করবে না ও | বীরেশ ওর মনোভাব বুঝেই কথা বলেছে। যাক। হোটেলটা নিয়ে ও থাক। যদি উন্নতি করতে পারে, করুক না। নিজের ভাই উন্নতি করবে, পর ত' নয়! তাছাড়া বীরেশের নিজের টাকার fee বা দরকার | ডাক্তারের স্থচিকিৎসায় মা সম্পূর্ণ তাল হয়ে না উঠলেও কথা বলতে পারল। উঠে বসতে পারলো | বীরেশ মনে মনে তারি সুখী । সীতেশও | ধীরেশের মুখে হাসি ফুটলে না। দিন কিছু কাটলো। বীরেশ স্বদেশীর দল প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। দলের সব গ্রেপ্তার হয়ে ছত্রতংগ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মাছের মন বদলেছে | সবাই আজ বলতে OF করেছে,-_সন্ত্রাসবাদে স্বাধীনতা! আসবে al | তবে কি এতগুলো কিশোর একদিন ভুল করে এসেছে! কিছুই কি দাম নেই তাদের কাজের? চোখের সামনে দেখেছে শুধু মাত্র দেশকে ভালবেসে জীবন মৃত্যু তুচ্ছ করেছে কত কিশোর বান্ধব তার । সবই কি ভুল-_সব বৃথা? মন সায় দেয় না। তধু বলতে পারে না কিছু । মা্ঘযের মনে আর স্থান নেই তাদের। সুধু চুপ করে WH] ও জানে ওদের কেউ কেউ গেছে কংগ্রেসে, কেউ বা বামপন্থী দলে । যারা মন পাণ্টাতে পারেনি, তারাই আজ আছে চুপ করে। যেন মরার মত | বীরেশ আজ তাদেরই একজন | মায়ের ওপর ওসব প্রাণ ঢেলে দেয় তাই | মায়ের সেবা, মায়ের সুখ, এই ওর এখন একমাত্র foal) কিন্তু মাও বুঝি বেঁকে বসে । বলে বসে একদিন, -_-একটা কথা রাখবি?