নবজাগরণ ও মানবিকতাবাদের ভূমিকায় দীনবন্ধুর নাটক | Nabajagaran O Manabikatabader Bhumikay Dinobandhur Natak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কাজ আরম্ভ হল ১৪৬৫, Bice, প্যারীতে ১৪৭০ স্রীটাবে, লগ্নে ১৪৭৭ গ্রীটাবে, স্টক্হল্ম্‌এ ১৪৮৩ Aetra । মোটকথা, আমাদের দেশে চৈতন্তদেবের আবির্ভাবের আগেই, ইউরোপের দেশে দেশে আবির্তাব ঘটল ছাপাখানার | ফলে ইটালী নবীন ভাবাবেগে হল ডুবুডুবু, এবং ভেসে গেল ফ্রান্স-ইংল্যাগু ইত্যাদি । সংখ্যাতত্বের হিসাবে দেখা গেল, পনেরো শতকের হুচনায় ইউরোপে যেখানে পুথির সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার/ এই নবা বিরত শিল্পের কল্যাণে, এই শতকের শেষ তা” দাড়িয়ে গেল নব্বই লক্ষে ।-_-হাতে লেখা fea যুগ থাকলে এইভাবে যে সংখ্যাটি বাড়ত না, তা ব্যাখ্যা করেনা বললেও চলে | যাইহোক, এইভাবেই ইউরোপ দিনে দিনে হ'তে থাকল সমৃদত্ধ। আর আমরা! চৈতন্যদেব, বৈষ্ণব-কবিতা, মঙ্গলকাব্য এবং কথকতা ইত্যাদির মাধ্যমে ও অনুদিত রামায়ণ-ভাগবত ইত্যাদির স্বাদ নিতে নিতে প্রায় শ” তিনেক বছর fafacy পার করে দিলাম। সাগরের ওপারে যখন হেলেনিক আদর্শে Vas হয়ে মানবিক অধিকারের সম্প্রসারণে মান্য চলেছে লড়াই করে, আমরা তখন আমাদের অধিকারের সঙন্কোচনেই wel দিব্য-চেতনাই সেদিন আমাদের কাছে অমোঘ সত্য। অলৌকিক কার্যকারণে TS তখন আমাদের দুর্বার, ভক্তিরসে আমরা মাতোয়ারা, আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী, আর “ইাচি-টিক্টিকি ইত্যাদি সংস্কার আমাদের রক্তের ভেতর খাচ্ছে কুরে কুরে। অমাবস্তার রাত্রে কালীমন্দিরের হাড়কাঠ সেযুগে আপ্লুত হচ্ছে AAAI রক্তে, শিশু fanfas হচ্ছে সাগরে, wafer রমণীকে ধর্মের মহিমা প্রচারের ay তুলে দেওয়া হচ্ছে HIE স্বামীর চিতায়। আর কোলিষ্য প্রথা, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির কল্যাণে আমাদের সমাজ-দেহ তখন ক্ষত-বিক্ষত I— অটোমান তূর্করা যেদিন কন্স্টান্টনোপল দখল করেছিল, ঠিক তিনশ চার বছর পরে আমাদের দেশে প্রায় অনুরূপ একটি অঘটন ঘটে গেল ৷ এই অঘটনের নাম, “পলাশীর যুদ্ধ” | যে-ইউরোপ নিজেকে নিত্য প্রসারিত করবার কাজে ব্যস্ত ছিল, সেই ইউরোপেরই কিছু লোক এসে এই যুদ্ধ বাধিয়ে বসল। সেই যে ১৪৯৭ খ্ীষটাবে ভাঙস্কো-দা-গামা ভারত-পথ আবিষ্কার করেছিলেন, সেই পথ ধরে ইউরোপের বণিষ্কুল ও মিমনারীর! সেইদিন থেকেই এদেশে বাওয়া-আসা আরম্ভ করে দেন। খরা ব্যস্ত ছিলেন ইউরোপের জন্য সম্পদ আহরণে। যদিও রক্তের হুত্রে ও চেহারায় Sal পুরোপুরি ইউরোপীয়ই ছিলেন, fre ১৬



Leave a Comment