হ্রস্ব ও দীর্ঘ | Hraswa O Dirgha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
থাকে। খাশনবীশের সঙ্গে দেখা হলেই বলে, 'নোবীশবাবু, বেশী খেটে লাভ কি? গভর্নমমেন্টের চাক্রিতে গ্রেড বাধা মাইনে। কাজে জান দিন কিন্বা ফাকি দিন. বছরের শেষে ইনক্রিমেন্টের হার যে কে সেই। এক পয়সা কম বেশী saa? অপদার্থ কোথাকার। আজ তার সঙ্গে দেখা হয়ে যাক এটা খাশনবীশের ইচ্ছা নয়। মামবযের মৃত্যুর মত সরকারী চাকরিতে রিটায়ারমেণ্টও অবধারিত । তবুও কেন যে গ্রীতম সিং-এর কাছে অবসর গ্রহণের কথাটা গোপন রাখার জন্য খাশনবীশ aa aaa তা তিনি নিজেই জানেন না। তাড়াতান্ড্রি বারান্দা থেকে সরে গেলেন । দুপুরে আহারের পর প্রথম একটা মাসিক পত্রিকা পড়তে চেষ্টা করলেন। মন বসল না! দিবানিদ্রার উদ্যোগ করলেন। টেলীফোনটা ক্রিং fx শব্দে বেজে টঠতই সবার আগে গিয়ে রিসিভার তুললেন। রং নাম্বার | বেলা পাঁচটার মধ্যে আরও দুটো টেলীফোন val দুবারই খাশনবীশ ধরলেন । al, একটাও আপিস থেকে মনয়। একবার ভাবলেন নিজেই একটা টেলীফান করে খবর নিলে কেমন হয়? বহু কষ্টে সে বাসন| দমন sara আশা করলেন, আপিসের শেষে ছুএকজন নিশ্চয়ই আসবে দেখা করতে। কেউ এল না। খাশনবীশের হতাশা তার মুখে চোখে গোপন রইল না। QA থেকে রাত দশটায় ঘুমোতে যাওয়ার আগ সময়টুকু ঘড়ির অঙ্কে ঘণ্টা কয়েক মাত্র। কিন্ত খাশনবীশের কাছে মনে হয় যেন কয়েক যুগ । কি করে কাটাবেন ভেবে পান না। পাড়ায় সরকারী চাকুরেদের একটা ক্লাব আছে । তার সেক্রেটারী নাছোড়বান্দা লোক । খাশনবীশকেও HT না করে ছাড়ে নি। কিন্তু স্থ্যাস্তের আগে যে কখনও আপিসের টেবিল ছাড়তে পারে না তার পক্ষে শুধু টাদা দেওয়াই সার হয়, ক্লাবে যাওয়ার সময় কোথায়? ate, এতদিনে বুঝি টাদাটার সদ্ধাবহার হয়। কিন্তু খাশনবীশ সারাটা জীবন শুধু কাজই রুরছেন। খেলাধুলার খবরও রাখেন নি। পিং পং, ক্যারম



Leave a Comment