বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী (১৯২১-১৯২৯) | Bageshwari Shilpa-prabandhabali (1921-1929)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শিল্পে অনধিকার > পেয়ালা Stal মন রইলো উপবাসে ৷ দিনে-দিনে মন হতবল, FSR হলো, স্কৃতি হারালে। তারপর একদিন দেখলেম, আনন্দময়ের দান আনন্দ দেবার ক্ষমতা, মানন্দ পাবার ইচ্ছা--সবই হারিয়েছি ; সৌন্দয- বোধ, আনন্দবোধ --সবই আমাদের চলে গেছে। বাতাদ যে কি বলছে তা বুঝতে পারছি ca, Fa পৃথিবী কি সাজে যে সেজে দাড়দচ্ছে ঘরের সামনে তাও দেখতে পাচ্ছিনে। আকাশে আলো নেই, অন্তরে তেজ নেই, আশ! নেই, আনন্দ নেই, শুকনো জীবন ঝুঁকে রয়েছে রসাতলের দিকে! এটা যে আমি কেবল অযথা বাক্জাল বিস্তার করে ভয় দেখাচ্ছি তা নয়; এই ভয় সত্যিই আমাদের মধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছে। এই ভয় থেকে পরিত্রাণের উপায় করতেই হবে, -_-শিল্পীর অধিকার আমাদের পেতেই হবে, না হলে কিছুই পাব না আমরা। ভারতবর্ষের প্রাচীন জ্ঞানভাওার, শিল্পভাগডার মতুল এশ্বযে কালে-কালে ভতি হলে সত্যি, কিন্তু আজকের আমাদের হাল-চাল দেখে কেউ কি বলবে আমরাই সেই অফুরন্ত ভাণারের aay উত্তরাধিকারী ? এই হতশ্রী, নিরানন্দ, অত্যন্ত অশোভন ভাবে নিঃস্ব, কেবলি হাত-পাতা আর হাত-জোড় ছাড়া হাতের সমস্ত কাজ যারা ভুলে বসেছি, স্থ্যের কণা দিয়ে গড়৷ কোণার্ক মন্দির, প্রেমের স্বপন দিয়ে ধরা তাজ--এগুলে! কি আমাদেরই ? ভারতবাসী বলেই কি এগুলো৷ আমাদের হলো ? তাতো হতে পারে না। এই সব শিল্পের নিমিতি, এদের নিজের বলবার অধিকার অর্জন করবে৷ শুধু সেই দিন, যেদিন শিল্পকে আমরা লাভ করবো, তার পূর্বে তো নয়। শিল্প যেদিন আমাদের হবে, সেদিন জগৎ বলবে এ সবই তে! তোমাদের | --আমাদের শিল্পও তোমাদের | আমাদের দেশের রসিকরা বলেছেন শিল্পকে “অনন্যপরতন্ত্র”। শিল্পের সাধনা! যে করে, কি দেশের কি বিদেশের প্রাচীন নতুন সব শিল্পের ভোগ তারই কপালে ঘটে । আমার দেশ বলে ডাক দিলে CHAT! হয়তো বা আমার হতেও পারে কিন্তু দেশের শিল্পের উপরে আমার দাবি যে গ্রাহ্য হবে না, সেটা ঠিক। তা যদি হতো তবে কালাপাহাড় থাক্‌লে, সেও আজ আমাদের সঙ্গে ভারতশিল্পের চূড়া থেকে প্রত্যেক পাথরটির উপরে সমান দাবি দিতে পারতো; কেন না কালাপাহাড় ছিল ভারতবাসী এবং আমাদেরই মত ভাঙতে "পটু, গড়তে একেবারেই অক্ষম ; শুধু কালাপাহাড় ভেঙ্গে গেছে রাগে আর ০.7. 14—2



Leave a Comment