মন-ভাসির টানে | Mon-vasir Tane

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হালচাল চেহারা পথঘাট কেমন দেখতে হয়েছে, জানি না। অনেক দিনের সাধ, একদিন চলে যাবো চু'চুড়োর ভিতর দিয়ে, গঙ্গার ধার থে ষে, শাগঞ্জের সীমানা পেরিয়ে | গন্তব্য কোথায়? না, ত্রিবেণীর ঘাট | এ আবার কেমন ভ্রমণ? রাত ভিথখিরির মতন, মন-ভিখিরির পথ চলা । কেননা, অনেকদিন যাবত মনটা! ওই পথটাকে ভিড় করছে। সেই যেখানে, চটকলের শেষে, চারপাশের খোলা জায়গায় কনডাকটর যাত্রীদের হ্যাট হ্যাট করে নামিয়ে দেয়, সেই ত্রিবেণীর ছাতায়। আসলে সেটা ব্রিবেনী না। পথ কিছু ভাঙতে হবে। মাঠের AT! ডান পাশে ঢেউতোলা টিনের বড় বড় শেড, গঙ্গাকে আড়াল কবে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। সারি সারি অনেক CHG | রাস্তা থেকেই শোনা যায়, শেডের মধ্যে, বয়সের হিসাব ছাড়া যতেক বামাস্বরের হাঁকডাক গুলতানি। কান পেতে শুনলে বচনের সবটাই পুবদেশী। খোলা মাঠের ওপর দিয়ে, গৌ ctl করে খালি মোটরবাসটা ঘুরে আসতে, বড় মুখ করে কনডাকটরকে জিজ্ঞেস করলাম, “এগুলো কিসের শেড, কারা থাকে ? কনডাকটরের জবাব শুনে কান ছুটো৷ ঝাঝিয়ে উঠলো। লিখে 'বলি, কলমের এমন অসহবত বুকের পাটা নেই। অথচ কনডাকটর সহিসের সঙ্গে ড্রাইভার হা হা হেসে, ভেপু ফু'কতে PRS বাস চালিয়ে নিয়ে চলে গেল | যেন কী মজাই করে গেল। আজকের কথা না, অনেক দিনের। তা পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি সময়ের তো বটেই । হালফিল যেমন মোটরবাসের বা লরি-ট্রাকের কানের পর্ঘা-ফাটানো যন্ত্রের CHOY বাজে, তখনও তেমনটা বাজারে আমদানি হয়নি। sata আমারই হয়েছে। আমি তো আর একটা যাত্রী নামিনি। চটকল পেরিয়ে, শেষ স্টপেজে, আরও ছু-চার যাত্রী নেমেছিল । তাদের জিজ্ঞেস করলেই পারতাম। কৌতূহল যখন মনে জেগেই ছিল । ১৮



Leave a Comment