ব্রাহ্মসমাজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস [সংস্করণ-২] | Bramhasamajer Sankhipta Itihas [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ ব্রাহ্মসমাজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাপ অর্থমূল্যে শুদ্ধ করে নিয়ে প্রকাশ্যে রামমোহনের বিরোধিতায় কোনোদিন নিরুৎসাহ বোধ করেননি। প্রত্যুপকার মহান wf) ব্রাহ্মণদের প্রত্যুপকারে রামমোহনের জীবনের আশঙ্কা পর্যন্ত দেখা দিল। রামমোহন সশস্ত্র হয়েই বাড়ি থেকে বের হতেন। এ তো গেল ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বিশেষের আক্রমণ। রক্ষণশীল সমাজ এক্যবদ্ধ হয়ে রামমোহনের সমাজের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেন। রবিবার ১৭ জানুয়ারি ১৮৩০ (৫ই মাঘ) তারিখে সংস্কৃত কলেজে এক ধর্মসভা GAS হয়। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধর্মসভার কার্যনির্বাহক নির্বাচিত হলেন। যাঁরা হিন্দুধর্ম ত্যাগ করেছেন বা বিপরীত কর্মে লিপ্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে সম্পর্করহিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত ace “সমাচার দর্পণ* লিখল-_ “আমাদিগের দেশে ধর্দ্যশাসন কর্তৃত্বাভাবে ধর্মহানি হইতেছে অতএব সধর্দ্ম এবং সদাচার সদ্ব্যবহারাদি রক্ষার্থ বিশিষ্ট শিষ্টসমূহের এঁক্য হইয়া যে সমাজ স্থাপিত হয়, সেই ধর্দ্দথসভার নিমিত্ত এই মহানগর মধ্যে এক Aol প্রস্তুত হইবেক।”* কিন্তু বিরোধিতা ব্রাহ্মসমাজের শ্বাসরোধ করতে পারেনি। যাই হোক, নবস্থাপিত ব্রাহ্মসমাজের প্রথম “বিশিষ্ট মনোনীত ব্যক্তি বা আচার্যের নাম রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। সে-সময়ে তার বয়স oie বছর। ইনি এই বয়সের মধ্যেই রামমোহনের ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে আসেন এবং রাজার শিক্ষক শিবপ্রসাদ মিশ্রের তত্ত্বাবধানে বেদাস্ত অধ্যয়ন করেন। উত্তরকালে তিনি সংস্কৃত কলেজের স্মৃতিশাস্ত্রের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। রামচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজের ১. দ্রষ্টব্য, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সংবাদপত্রে সেকালের কথা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩০০-৩০৪। ২. সমাচার দর্পণ, ৬. ২. ১৮৩০ : ২৪ মাঘ ১২৩৬।



Leave a Comment