ঈর্ষার সবুজ চোখ | Irshar Sabuj Chokh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বদ্দিতার কথা ভাবাই যায় না। সায়নও এত সব বড়-বড় কোম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দবিতায় পেরে উঠবে এমন ভরসা করেনি প্রথমে কিন্তু তার চোখে পড়েছিল, খাস কলকাতায় আর একটি বড় কোম্পানি 'দি লাইম ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড” বেশ রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে। 'লাইম ইন্ডিয়া'র চেয়ারম্যান cares সিংহরায় এক প্রবল প্রতাপান্বিত ব্যক্তি। চেহারা ছোটখাটো, কিন্তু তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধি AIT! মাত্র দু'লাখ টাকা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে সাবানের ব্যবসা শুরু করে ক্রমে তাঁর কেম্পানিতে কয়েক কোটি টাকার টার্নওভার। ভিন রাজ্যের নামীদামি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দিব্যি টক্কর দিয়ে জমিয়ে ফেলেছেন তাঁর কোম্পানির ব্যবসা। ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের এককোণে একটা বিশাল ন'তলা বাড়ির গোটা সাততলাটা নিয়ে তাঁদের অফিস। গায়ে-মাখা সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরির জগতে ঈর্ষণীয় বাজার তৈরির মুখে এসে পৌছেছে মাত্র পনের-যোল বছরের VC | কোম্পানির প্রথম ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রাণতোষ বটব্যাল পর পর তিন-চার ধরনের সাবান তৈরি করে এমন চমক দিয়ে বাজারে ছেড়েছিলেন যে অন্তত তার পরের দশ-পনেরো বছর কোম্পানির টার্নওভার নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি। কলকাতাব বাজারে, এমনকি মফস্বলেও তাদের রেডরিবন বিউটিবাথ ব্লু জুয়েলের তখন ভীষণ BOS | অন্য ছোটখাটো কোনও বাঙালি কোম্পানি লাইম ইন্ডিয়ার প্রোডাক্টের ধারে কাছে পৌছতে পারছিল না। কোম্পানির সর্বশেষ উৎপাদন ছিল লেমন্‌ টাচ যা গায়ে মাখলেই চমৎকার THANG লেবুর গন্ধে SAGA করত শরীর। লাইম ইন্ডিয়াকে দেখে সায়নের মনে হল, তা হলে বাঙালি কোম্পানিও ইচ্ছে করলে বড় হতে পারে। হঠাৎ একদিন কলকাতার সব কাগজেই বড়-বড় করে নতুন একটি সাবানের বিজ্ঞাপন বেরুল। একটি বাঙালি কোম্পানি “দি প্যারাডাইস প্রোডাক্টস্‌ লিমিটেড' বার করেছে 'রোজবেরি” নামে একটি সাবান, যার মোড়ক থেকে সাবানের শেষ বিন্দু পর্যন্ত চমৎকার গোলাপের সুবাসে ভরা। স্নানের ঘরে রাখলে গোটা বাথরুম গোলাপের ATH ভরে ওঠে | পর পর দু-তিনটি এমন চমক দেওয়া বিজ্ঞাপনও বেরিয়ে গেল সংবাদপত্রে যে, বাসে-ট্রামে, রেস্তোরীয়, বাড়িতে-বাড়িতে শুরু হয়ে গেল “রোজবেরি' নিয়ে আলোচনা। “দি প্যারাডাইস প্রোডাক্টস'-এর ধারাবাহিক সাফল্যের সেই GS | সায়ন ততদিনে তার ফ্ল্যাটের পেছনের অংশে একটা পরে ছোট্ট ল্যলরেটনি-রুম তৈরি করে নিয়েছে। তার বাবা নিশীথ চৌধুরী একতলায় যেমন গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন, ঠিক সেই ধাঁচে। বিদেশ থেকে শিখে আসা অধীত বিষয়ের সঙ্গে নিজবের জ্ঞান মেধা মিশেল দিয়ে সেই ছোট্ট ঘরটিতে সায়ন গবেষণা করে চলল অবিরাম। তারপর একের পর এক নতুন ফর্মুলা বার করেছে গায়ে মাখা সাবান তৈরির অভিনব সব রহস্য! তার তৈরি প্রতিটি প্রোডাক্টই তখন স্বাদে-গন্ধে অপূর্ব। প্যারাডাইস প্রোডাক্টের প্রতিটি বর্ণময় সৃষ্টিই তখন আলোড়ন তুলছে গেরস্থ-ঘরে। সায়ন চৌধুরীর জীবনে তখন একটাই মূলমন্ত্র, ওয়ার্ক, ওয়ার্ক হার্ড | বড় হওয়ার পথে কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। সে ততদিনে নতুন করে সাজাচ্ছে তার অফিস। ভাল-ভাল অফিসার AHS করছে তার এসপ্লানেড ইস্টের নতুন অফিসে। পূর্ব কলকাতার ১৮



Leave a Comment