নীল রক্ত নীল বিষ | Nil Rakta Nil Bish

২০ নীল রক্ত নীল a কিন্তু উপায় তো নেই, যেতেই হবে। A মনে যে মুহূর্তে সমুদ্রনীল গ্রিনরুম থেকে (বেরুতে যাচ্ছে, হঠাৎই কম্পাউণ্ডের গেটের কাছে SIA ও দ্রুত পুলিশি তৎপরতা! একটু পরেই 'এসেছে এসেছে' রব উঠতেই গাগীরা সবাই চমকে তাকাল গেটের দিকে। একটা দামি সাদা কনটেসা ঢুকছে তুলিকাদের তুঁতরঙা মারুতির পেছনে, চারপাশে পুলিশি প্রহরা। কয়েকটি 'সবুজ' গেটের দুপাশে দাঁড়িয়েছিল গোলাপ হাতে, তারা একযোগে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানাল শ্রীরাধাকে | পুলিশ ইনস্পেক্ট্র অরিজিৎ বসু বহুক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করছিলেন গেটের আশে AIT | তাদের দুই বড় কর্তা মঞ্চে আসীন, ওদিকে মুম্বইয়ের নামী অভিনেত্র৷ আসছেন, Wa মিলিয়ে পুলিশ ইনস্পেক্টরের আজ খুব BIA | তার ওপর এখানে এসেই আজ AAT, 'আশ্রয়” এরই একটি কিশোরী নিখোঁজ হয়ে গেছে নিউ মার্কেটে ফুল কিনতে গিয়ে । কিন্তু তা নিয়ে আপাতত তার ভাবার সময় নেই | আগে ভি. আই. পি না সামলালে চাকরিটি নট। শ্রারাধার আগমনে 'আশ্রয় -এর সবুজেরা তো বটেই, মান্যগণ্য অতিথিরা পর্যন্ত চঞ্চল হয়ে উঠলেন হঠাৎ। গাগী খুবই নিরাসক্ত থাকার চেষ্টা করল, তবু সিনেমার পর্দার নায়িকাকে হঠাৎ চর্মচক্ষে দেখার একটা গাঢ় উত্তেজনা বোধহয় নিজের অজান্তেই চারিয়ে যায় ভিতরে | বিশেষ করে যে-নায়িকার খ্যাতি ভারত জোড়া। যার ছবি প্রায়শ কলকাতার নানান ভিড্রাক্রান্ত মোড়ের হোর্ডিঙে অনবরত বিদ্ধ করে চোখ। যাদের নামে নানাবিধ গুঞ্জন প্রতিনিয়ত ভেসে বেড়ায় সারা দেশের ফিল্মোৎসাহী মানুষদের মনে। দুধসাদা কনটেসাটা এসে দাঁড়াল একেবারে মঞ্চের ধার থেঁষে। ফাদার দাঁড়িয়ে ছিলেন মঞ্চে ওঠার সিডির ঠিক পাশেই | শ্রীরাধাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সঙ্গে করে উঠে এলেন মঞ্চের ওপর তাঁর নির্দিষ্ট চেয়ারটির সামনে | সঙ্গে সঙ্গে আলোকিত মঞ্চ আরও আলোয় ভরে উঠল। গাগীরও মনে হল, পর্দার নায়িকার চেয়ে বাস্তবের নায়িকার সৌন্দর্য, বিভা যেন আরও অনেক বেশি। হয়তো চড়া প্রসাধন করার ফলেই এমন। প্রাথমিক লম্মোহন কাটিয়ে গাগী তখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তার হাতের serio নিয়ে যাতে পর পর সাজিয়ে নিয়েছে আজকের অনুষ্ঠানসূচি। সেইভাবেই আজকের দিনটি সম্পর্কে ছোট্ট একটা ভূমিকা করে মেয়রের নাম ঘোষণা করল সভাপতি হিসেবে | তারপর অভিনেত্রী শ্রীরাধাকে প্রধান অতিথি! এক-একটি নাম ঘোষণা করছে, আর “আশ্রয় এর সবুেরা পুষ্পস্তবক দিয়ে ভুবিত করছে তাদের। শ্রীরাধার হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিল অতসী নামের একটি কিশোরী। তার মুখ তখন ঝলমল করছে এক আশ্চর্য শিহরনে। Na সে দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে পেখছে অপলক, সে সময় প্রিনরুমে ফৌঁপানির শব্দ শুনে এববার চোখ ঘোরাল। নিরেদিত। কাঁদছে ওভাবে। বোধহয় তার মনে পড়ে যাচ্ছে আজ RIAA চৈতালির মুখ এর চেয়েও উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল RI হাতে সে-ই পুষ্পস্তবক তুলে দেবে COM গাগীও একটা দীর্শ্যাস ফেলল। একসময় HS এই প্রতিষ্ঠানের সুখ দুঃখের সঙ্গে ওতপ্রোত ছিল। এখন এদের সঙ্গে তার দূরত্ব অনেকখানি | prey পর নিবেদিতার টেলিফোন পেয়ে এখানে না এলে হয়তো জানাই হত না চৈতালির নিখোঁজ সংবাদ। কিন্তু জেনে যখন ফেলেছে, দুঃসংবাদের (ছোট্ট পোকাটা তার মাথার COLTS ক্রে কুরে সেঁধৃচ্ছে BPs | কিন্তু সে ভাবনা আপাতত নয়। মঞ্চে তখন একটার পর একটা অনুষ্ঠান হায় চলেছে NAT ঘোষণা অনুযায়ী কিছু Tew! হঙ্যাদি হওয়ার পর '৮ওালিকা | নঞ্চের পদা কিছুক্ষণ