আমার একান্নটি গল্প | Amar Ekannati Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ আমার একারনটি গল্প চোখাচোখি হওয়া। মনটা দুর্বল হয়ে UCAS! তার মানে, পাখিটাকে এঁ aAM লোকটার হাত থেকে ছাড়াতে অমলেশকে গাঁটগচ্চা দিতে হবে করকরে দশটা টাকা। কিন্তু সেটা তো আর রোজরোজ্ব সম্ভব নয়। অমলেশ এমন কিছু কোটিপতি নন যে রোজরোজ একটা ডাহুককে TE করতে গিয়ে দশটা করে টাকা খরচ করে যাবেন দিনের পর দিন। তার চেয়ে এই ভালো। গেলেনই না ওদিকটায় । গেলেই তো দেখতে হবে খাঁচাবন্দী পাখিটার করুণ একজোড়া চোখ, মায়া জাগবে মনে, আর তাহলেই তো টাকা দিয়ে পাখিটাকে ছাড়াতে ইচ্ছে করবে। তার চেয়ে বরং পাঁচিলের ওপারে কে কী করছে, নজরে না পড়লেই হলো। ঘরের মধ্যে অন্যমনস্ক বসে ছিলেন অমলেশ, একসময় পাঁচিলের ওপার থেকে নিতাইয়ের গলা খাঁকারির আওয়াজ শুনতে পান। ঝোপঝাড় ভেঙে হেঁটে বেড়াবার আওয়াজও ভেসে আসে। অমলেশ শুনেও শোনেন না। অন্যমনস্ক থাকবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। পেছনের পাঁচিল বরাবর জানালাটা আলগোছে FY করে দেন। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না তিনি, কানদুটো বেজায় উৎসাহী হয়ে ওঠে । অমলেশ শুনতে পান, পাঁচিলের ওপারে কার সঙ্গে যেন জোর গলায় কথা জুড়েছে নিতাই। মনেমনে খুব কৌতূহল আগলেও বহু কষ্টে তা সংবরণ করেন অমলেশ। পণ করেছেন, আজ আর কিছুতেই নিতাইয়ের খপ্পরে পড়বেন AT! একটু বাদে পাঁচিলের ওপার থেকে ভেসে আসে নিতাইয়ের গলা, বাবু, ও বাবু_ ৷ প্রথমটা সাড়াই দেন না অমলেশ। কিন্তু নিতাইটা যেন নাছোড়বান্দা আজ, বারবার ডাক পাড়তে থাকে সে। একসময় সারা মুখে বিরক্তি জমিয়ে বাইরে আসেন অমলেশ। দেখেন, পাঁচিলের ওপারে দাঁড়িয়ে MIG বের করে হাসছে নিতাই। আজ আর ডাহুকটাকে খাঁচায় ভরে নি। তার বদলে প্রাণীটার yore ওর বাঁ-হাতের মুঠোয়, মুন্ডুটা মাটির দিকে, এঁ অবস্থায় পাখিটা শূন্যে ঝুলছে। পাখিটার শরীর থেকে aera সরিয়ে নেন অমলেশ। Me হয়ে শুধোন, কী হলো কী ? যাঁড়ের মতো চৌেঁচাচ্ছ কেন? নিতাই রাগে ati তিলমাত্র বিকার ঘটে না তার। ঠোটের ডগায় হাসিটা ঝুলিয়ে রেখে বলে, Ute অপিস যাবেন না? ছুটি নাকি ? অমলেশ চোখ চারিয়ে দেখেন, ধারেপাশে কেউ নেই। বলেন, কার সঙ্গে কথা বলছিলে ? — এই পাখিটার acer) নির্বিকার মুখে জবাব দেয় নিতাই, -_ওকে বলতেছিলাম, চল্‌ তবে, ঘরে ফিরি। লতুনপাড়ার বাবুটি তোকে না পেলি আজ্ব অশান্তি বাধাবেন। Tacha বাদে তোর রোস খেয়ে অরুচি কাটাবেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে পাখিটার সঙ্গে চোখাচোখি হয় অমলেশের ৷ অমলেশ দেখতে পান, ঝুলস্ত অবস্থায় পাখিটা করুণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে ওঁর দিকে। অতি দ্রুত চোখ সরিয়ে নেন অমলেশ। নিতাইয়ের শেষ কথাগুলো, ইতিমধ্যেই তো ঢুকে পড়েছে কানে,



Leave a Comment