সুভদ্রার ভিটে | Subhadrar Bhite

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রাজ সাধে ফিরে এসেছেন। স্ভদ্রার কাঁইিনী শুনে তিনি৷ OF পাঠিয়েছেন গোবিন্দশরণকে। ভার যেন সবই ul সুভদ্রার মতো একটি তরুণীকেই নাকি তিনি একদিন দেখেছেন কোলকাতার রাজপথে কোন এক ধনী-সম্ভানের সঙ্গে | রাজা সাহেবের কথায় fate হয়ে যান গোবিন্দশরণ। কোন কথাই ফোটে না তার মুখে। কী উত্তর দেবেন তিনি? তবে কি Quy পলাতক! ? না, কিছুতেই তা হতে পারে না। গোবিন্দশরণকে কিছুতেই বিশ্বাস করানো সম্ভব নয় সে কথা | মধ্যাহ্নের নীরবতায় পাতলা বাতাসে গোবিন্দের কানে প্রতিদিনই ভেসে আসে সুভদ্রার কণ্ঠস্বর। রাজা সাহেবের মিথ্যাভাষণের প্রতিবাদে Bom অতি সংগোপনে তাকে যেন রোজই এসে জানায়, 'আমি পলাতকা নই, আমি তোমারই” তার শোবার ঘরের পাশে শেফালি গাছের তলায় Bourg নামে একটি তুলসী বেদী তৈরি করে নেন গোবিন্দশরণ | দিনের সমস্ত অবসর সময় তিনি কাটিয়ে দেন সেই বেদীমূলে ৷ সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালিয়ে বসে থাকেন তিনি সেখানে যতোক্ষণ না সে প্রদীপ জ্বলে জ্বলে নিভে যায়। গোবিন্দশরণ বলেন, জীবন-মরণের Crea যে প্রেম সেই প্রেমের মৃত্যু নেই--সে প্রেমেরই নিত্য পূজারী তিনি | গোবিন্দশরণও পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্ত স্বভদ্রার বেদীতে এখনও প্রদীপ জ্বলে । সে প্রদীপ জ্বালবার ভার পড়েছে জ্ঞাতি ভাইয়ের ছেলে উমাশংকরের ওপর ৷ সে বেদী সোনার গীয়ের মানুষের কাছে HAAS | সুভদ্রার কণ্ঠস্বর আজও নাকি অনেকে শুনতে পায়। wots ভিটেতে আজও তাই লোকের ভিড় জমে |



Leave a Comment