পরশুরামের কৃষ্ণমঙ্গল | Parshuramer Krishnamangal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ৮/০ জগমগলোচন কমল ঢুলায়ত সহজে আঁখির গতি জিতি মাতোয়ার। ভাইয়া অভিরাম বলি ঘন ঘন ডাকৃত গৌর প্রেমভরে চলই না পার ॥” > ইত্যাদি । এই ছুই বর্ণনা হইতে মনে হয় যে, চৈতন্যদেবকে নিত্যানন্দ প্রভু 'ভাইয়া অভিরাম” afer ঘন ঘন ডাকিতেন। কোনও কোনও পু'থির বন্দনায় প্রথম ও দ্বিতীয় অংশের অভাব পরিলক্ষিত হয়। বন্দনার দ্বিতীয় অংশের গুরুত্ব সমধিক, ইহাতে চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ, অদ্বৈতাচার্য, দামোদর ( স্বরূপ দামোদর ), হরিদাস (1 ঠাকুর ) ও নরহরি ( সরকারের ) নামোল্লেখ আছে, পরবর্তী aie ষোড়শ শতাৰ্দীর শেষ দিকের এবং সপ্তদশ শতাব্দীর আচার্যদের, বিশেষতঃ শ্রীনিবাস আচার ও নরোত্তম ঠাকুরের উল্লেখ নাই। এই দিক fra বিচার করিলে বলিতে হয়, পরশুরাম যোড়শ শতাৰ্দীর শেষার্ধে অথবা সপ্তদশ ASN গোড়ায় তাহার কাব্য রচনা করিয়াছিলেন ।* কৃষ্ণমঙ্গলের এই কবির অপর পরিচয়ের মধ্যে দেখা যায় তাহার উপাধি ছিল চক্রবর্তী। ইহার সহিত মাধবসঙ্গীত রচয়িতা পরবতী আর এক পরশুরামকে অভিন্ন মনে করিয়া ১৩৩৩ সালের বঙ্গবাণীতে লিখিত হইয়াছে, কবি ব্রাহ্মণ, কিন্তু জ্ঞানদাসের পাটের প্রথম মোহস্ত কিশোরদাসের অগ্রজ মনোহর ১ বৈষ্ণবপদলহরী, QA লাহিড়ী সং, বঙ্গবাসী, পৃঃ: ২৯২। ২ USF স্কুমার মেন (এ, পৃঃ ১০১৪ ও sess) “পরত্তরামের কাব্যের শ্রীবংসচিনস্ত! উপাখ্যানের* দুইখানি পুথি মিলাইয়া “কাব্য রচনাকাল' উদ্ধার করিয়াছেন, “সন হাজার সত্তরি সাল” (১৫৮৪ শকাৰ )। একটি ছোট পালার পু'থির শেষে এরূপ বিকুত ভাষায় লেখা তারিখ দেখিয়া সমগ্র কাব্যের রচনার তারিধ অনমান করা ছুঃসাহসের কর্ম। আরও বিষম কথা, পরপ্তরাম চক্রবর্তীর কৃষ্ণমঙ্গলে শ্রীবংস-চিস্তা afer কোনও উপাধখ্যানই নাই।



Leave a Comment