শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ | Shilpiguru Abanindranath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ ৩ অবনীজ্ছ্রনাথ নিয়মিত আসেন, সেদিনও এসেছেন। রবিকার খবরাখবর নেবার পর যথারীতি কৌচে বমেছেন। মন আরো খুশি, খবর পেয়েছেন রুবিকা wea wt কবিতা লিখছেন। তাই একে-ওকে ডেকে তিনি গল্প করছেন। লম্বা বারান্দায় পর পর at আমি সেই সময়ে স্লান মেরে বারান্দা পেরিয়ে বোঠানের ঘরে চলেছি। মন ছিল আমার খানিক অন্যমনস্ক। যেতে যেতে আচমকা মুখ তুলে CHAS, মাত্র হাতকয়েক দূরে Maas বসে। তিনি বসেছিলেন বারান্দার রেলিং ঘেঁষে বাইরের দিকে মুখ করে। আমি আছি Sta পিছন frre: তাকে দেখতে পেয়ে আমি থেমে গেছি, চলতে চলতে চলার যে শৰ্দ উঠছিল তাও থেমে গেল । অবনীন্দ্রনাথ টের পেলেন। তেমনিভাবে বসেই Ete দিলেন-- কে ? কৃষ্ণ রপালনি ছিলেন কাছে। বললেন, রানী | অবনীন্দ্রনাথ যেন গুম্রে-ওঠা হুংকার ছাড়লেন-_ হু, পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? আমার তখন যা অবস্থা! ফিরেও যেতে পারি না, এগোতেও ভয়। কী করি। Satay আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। ধীরে ধীরে কাছে গিয়ে প্রণাম করলাম, প্রণাম করেই উঠে আসব-_ বললেন, caveat | Fe কপালনি ততক্ষণ সরে পড়েছেন সেখান থেকে । আমি নিরুপায়, অসহায় । ছুরদুর করছে বুক । ভয়ে ভ্রাসে জড়োমড়ে! হয়ে বসে রইলাম সেইভাবেই, প্রণাম করবার কালে যেমন বসেছিলাম ছু-ইাঁটু মুড়ে। কয়েক মুহূর্ত. কাটল এইভাবে | অবনীন্দ্রনাথ বললেন, আজ একটি বলাকা ধরেছি। চোখে যেন তার হাসি হাসি Sta) বললেন, কী সুন্দর বলাকা । তার মুখেও হাসির রেখা ফুটল। বললেন, ছুদিকে ছুই ডানা মেলে সে চলেছে-_ চলেইছে। অবনীন্দ্রনাথ একবার করে থামেন, আর বলেন। বললেন, নীল আকাশে সে উড়ে চলেছে। রোদ-ঝলমল ধান-খেতের উপর দিয়ে উড়ে চলেছে। একা! একা উড়ে চলেছে। তার মুখ-চোখ আবার হাসিতে ভরে উঠল। বললেন, দেখবে? অবনীন্দ্রনাথ তার কোলের উপর রাখা ভান হাতখানি তুলতে গিয়ে নামিয়ে



Leave a Comment