মেঘনাদবধ কাব্য চর্চা | Meghnadbadh Kabya Charcha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ মেঘনাদবধ কাবা চর্চা আসা। একে তো 'জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, আতি' জলাঞ্জলি দেওয়ার মধ্যে কোনো ধর্মবোধ বা নৈতিক বোধ নেই একথা মেঘনাদ বলেই দিয়েছে, তারপরে সে HICH বলেছে, 'আতিথেয় সেবা,/ FSP, লহ, শ্রশ্রেষ্ঠ, প্রথমে এধামে:/ রক্ষোরিপু তুমি, তবু অতিথি, হে, এবে ।/ সাজি বীরসাজে আমি। fray যে অরি./ নহে রথীকুলপ্রথা আঘাতিতে তারে;/ এ বিধি, হে dasa অবিদিত নহে,/ wa তুমি, তব কাছে:-- কি আর কহিব?” হেক্টর-একিলিস-এর লড়াই-এ হোমার বা শেক্সপিয়ার (যে যুদ্ধনীতি বজায় রেখেছেন মাইকেলের মেঘনাদণও সেই heroic ০0৫4৫-কেঁই মেনে চলেছেন। 8 মেঘনাদকে বধ করার পর মাইকেল বিভাষণকেও শোকাপ্লুত দেখিয়েছেন। তারপর লম্মণের ATCA আশ্বস্ত হয়ে দুজনেই মায়ারই প্রসাদে দ্রুত গিয়ে হাজির হয়েছেন রামচন্দ্রের কাছে এই সংবাদ দিতে | রামচন্দ্র শুনে সীতা-উদ্ধারের সাফল্য যে অনুণঞেরই প্রাপ্য তা বলে “ধন্য জন্মভূমি আযোধ্যা'-- এই উচ্চারণও করেছেন। একজন ভান্মভূমির জন্যে প্রাণ দিলেন, অন্যজন জন্মভূমি রক্ষার জন্যে প্রাণ নিয়ে জন্মভূমি রক্ষা করলেন। এই জণম্মভূমি-চেতনার মধ্যে পুরোনো হলেও (জনশী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদলি গরীয়সী)--একটা সমকালীন চেতনা থাকা মোটেই অস্বাভ!বিক নর। কিন্তু রামচন্দ্রের উক্তির শেষ অংশটিতে মাইকেলের মানবিক বোধ উনিশ est মাত্রায় খুবই স্পষ্টভাবে ছুঁয়ে গেছে। রামচন্দ্র লম্ষ্ণকে মনে করিয়ে দিয়েছেন : 'পূজ কিন্তু বলদাতা দেবে. প্রিয়তম; নিজবলে দুর্বল সতত মানব; সুফল ফলে দেবের প্রসাদে।' রামচন্দ্র এখানে নিজেদের ata’ জাতির প্রতিনিধি বলেই মনে করেছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন মানবিক দুর্বলতার কথা। অন্যদিকে রাক্ষসবংশ দেববল-বিচ্যুত হয়েও আত্মবিশ্বাসে প্রাণ দিতে প্রস্তুত আছে, প্রাণ দিয়েছেও। মেঘনাদ মৃত্যুর আগে ভাগ্যকেই ধিক্কার দিয়েছেন। কিন্তু পিতার হাতে যে লম্ম্মণের নিস্তার নেই এ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত | দেবতাকে তিনি দোষ দেননি, তার শ্রসাদও তিনি চান fl! পিতা, মাতা ও স্ট্রীকে স্মরণ করেই লঙ্কার “পঙ্কজ রবি' অস্তাচলে গেছে। ৫ কিন্তু এই মহান্‌ আত্মত্যাগের একটা বড় প্রত্যুত্তর বা প্রতিক্রিয়া তো দরকার। সেই প্রতিক্রিয়ায় রাবণের অসীম আত্মবিশ্বাসী শক্তির প্রকাশ ঘটেছে সপ্তম সর্গে! আরাধ্য দেবতাকে এবং অন্যান্য দেবতাদেরও তিনি বিচলিত করেছেন তার প্রতিহিংসা নেবার সংকল্পে। আবার মেঘনাদ যেমন THIS অতিথি হিসেবে বরণ করতে চেয়েছিলেন বীরোচিত ন্যায়বোধে, রাবণও তেমনি 'দেবাকৃতি' THA শৌর্ষে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অকপটে একদিকে শক্তিশেল প্রয়োগের অটুট সংকল্প, অন্যদিকে সেই শত্রুরই প্রশংসা রাবণকে আদর্শ বীরত্বে পাছে দিয়েছে। যষ্ঠ সর্গে মেঘনাদের মধ্যে যেমন নায়কোচিত গুণের প্রকাশ ঘটেছে, সপ্তম সর্গে তেমনি রাবণেরও অকল্পনীয় শক্তিরই প্রকাশ ঘটেছে। শক্তিবাণ দিয়ে লক্ষ্ণকে বিদ্ধ করাতেই তার প্রমাণ। আপাতত, রাবণ যুদ্ধে জয়ী হলেও কাহিনির প্রয়োজনে লক্ষমণকে পুনর্জীবন দিতে হবে। সেই ACES দেবতারই কৃপায় রামচন্দ্র মায়ার সঙ্গে প্রেতপূরীতে গেলেন। সেইখানেই দশরথের সঙ্গে দেখা করে PRT পুনর্জীবনের উপায় জেনে নেবেন। প্রেতপুরীতে দশরথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে



Leave a Comment