বাংলার মহাপুরুষ | Sriaurobinda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দ্বিতীয় অঙ্ক fants ( চোদ বছর ) ম্যান্চেঃীরে ড্রুয়েট পরিবারে শ্রীঅরবিন্দের বয়স যখন সাত, তখন থেকেই তিনি দেশছাড়া হলেন । এ সময় কৃষ্ণধন ছেলেমেয়েদের নিয়ে সপরিবারে বিলাতে গিয়ে ম্যান্চেঞ্টারে রইলেন। উদ্দেশ্য এই যে, সেখানেই তিনি ডাক্তারি করতে থাকবেন, স্ত্রীর মন্তিষ্কব্যাধির চিকিৎসা করাবেন, আর তিনটি ছেলেকে কোথাও রেখে উচ্চশিক্ষা দেবার ব্যবস্থা করবেন। ছেলেদের তিনি সব চেয়ে CHB ধরনের ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন, এই ছিল তার একটা আন্তরিক ইচ্ছা | ম্যান্চেষ্টারে ডুয়েট নামক একজন পাদ্রী এবং তার স্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ছেলে তিনটিকে তিনি তাদের কাছেই রেখে দিলেন। বড়ো দুজনকে সেখানকার স্কুলে ভতি ক'রে দেওয়া হলো, আর বাড়িতে রেখেই আীঅরবিল্দের শিক্ষার ভার নিলেন ওঁরা দুই স্বামী-স্ত্রী । ডুয়েট ছিলেন ল্যাটিন ভাষাতে পরম পণ্ডিত, তিনি গোড়া থেকেই শ্রীঅরবিন্দকে ল্যাটিন শেখাতে লাগলেন, আর তার স্ত্রী শেখাতে লাগলেন ইংরেজী ৷ কৃষ্ণধন বিশেষ ক'রেই সতর্ক ক'রে দিয়েছিলেন যে, তার ছেলেদের কিছুতেই যেন কোনো ভারতীয়ের সংস্পর্শে আসতে দেওয়া না হয়, তারা যেন HH বিলাতী আবহাওয়ার মধ্যে থেকে সকল বিষয়ে ইংরেজের ছেলেদের মতোই মানুষ হয়।



Leave a Comment