জীয়ন্ত [সংস্করণ-১] | Jiyanta [Ed. 1]

গেছে সকলেই । অনায়াসে হাসিমুদ্দে খেলার ছলে সে মোড় সুরিয়ে দিয়েছে এমন একটা মান্যগণ্য জমায়েতের মনের গতির ! এমন না হলে এত কম বয়সে ব্যারিস্টারিতে এত পশার, নেতা-গির্লিতে এমন নাম করতে পারে কেউ! দু-চারজনের ক্ষীণ এবং ভুবনের ক্রুদ্ধ প্রতিবাদ আর অভিযোগ সভাভঙ্জের বিশৃঙ্খলায় কোথায় ভেসে যায়। চেয়ার ঠেলে দিয়ে উঠে দীড়িয়ে sae বিন বাক্য-ব্যয়ে সভা ভেঙ্গে দিয়েছে। অনেকে তাড়াতাড়ি উঠে কাছে গিয়ে তাকে ধিরে দীড়িয়েছে। ভূবন অসহায় ক্রোধে অগত্যা নিজে নিজেই ফোন ফোন করে নিজের লোকের কাছে । পাকা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল sacred দিকে। চোখে তার ধাধা দেখার অবাক জিজ্ঞাসা। এখন মুখ দেখলে মনে হবে, ছেলেটা বুঝি হাবা- গোবা, ভাবুকতা আর পাকামির মেশানো ছাপটা মিলিয়ে গেছে। অনন্তের বাহাদুরি তাকে মোটেই মুগ্ধ করে নি, ওটা বাহাছুরিও হয়ে ওঠে নি তার কাছে, অন্য একটা শৰ্ এসেছে মনে সংজ্ঞা হিসাবে-চালবাজি--তার মনে আঘাত লেগেছে কঠিন। ছেলেবেলা থেকে এই WHAT সে বোধ হয় অন্য সবার চেয়ে ভয় ও ভক্তি করে এসেছে, তার কাছে Aas অনেক উঁচু, অনেক বড়, দৃঢ়চেতা কর্তব্যনিষ্ঠ চরিত্রবান AA সে যে এমন ছল চাতুরী অভিনয় জানে, দেশ ও স্বাধীনতার নামে ফাকি দিয়ে বোকা বানাতে পারে এতগুলি মানুষকে এমন গা-ছাড়া অবহেলার সঙ্গে, এ কথা সে ভাবতেও পারত না। হাঙ্গামা যে অল্পেই মিটে গেছে aaa তার বিশেষ ge নেই, কিন্তু কি দরকার ছিল এ ভাবে অল্পে হাঙ্গামা মেটাবার? একটুখানি সত্য নিয়ে পাক দিয়ে চালাকি করে এমন মিথ্যা খাড়া করবার? তেমন গুরুতর প্রয়োজন থাকলেও সে নয় বুঝতে পারত এ রকম ঘোরপ্যাচ চালবাজির মানে। বিশেষ বই By করা নিয়ে রাখালের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল, কিন্তু ফচকে ছোড়া বলার জন্য সে তাকে মারে নি। সে নিজেও কতবার কত বন্ধুকে বলেছে SAB | ভূবন এসে রাখালের পক্ষ নিয়ে তাকে ধমক দেওয়ায় তার মেজাজ বিগড়ে যায়। রাগারাগি করে সে চলে গিয়েছিল, ভৈরবকে দিয়ে একখানা fan লিখিয়ে এনেছিল । ভৈরব অবশ্য জানত না সে কি বই চায় a