আমিন পিয়ারীলাল | Amin Piyarilal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমিন পিয্ারীলাল- - ৩ মতিলাল এদিকে সতীশ রায়ের বারান্দায় বসে একরাটি মু়ি"গুড় চিবোচ্ছিল ৷ মুড়ি মেখে দিয়েছে সতীশ রায়ের অবিবাহিতা ভাগ্নী পারুলবাল! ৷ মুড়ি খেতে খেতে সে পারুলের দিকে বার বার .চেয়ে দেখছিল, আর পারুলবালা মুচকে হাসছিল। বাসার অন্য সকলে তখন AAA ব্যস্ত, সতীশবাবু বাইরে | পারুলকে মতির ভারি পছন্দ । পারুলকে প্রথম সে দেখে যখন সে একজন চেন-ম্যান নিয়ে সতীশ রায় আর হারাধন মণ্ডলের বাড়ীর মধ্যেকার পুকুরটার পুরুষান্ুক্রমিক বিবাদের we লিখছিল। ছুই বিবদমান পক্ষ যে যার কাগজ পত্র দেখাচ্ছে, আর চেন-ম্যানরা পুকুরের পাড় বরাবর চেন ফেলে দেখছে কত চেন, .কত লিঙ্ক, পাড়গুলির দৈর্ঘ্য 1 এমন সময় পারুলবাল৷ কি কাজে ঘাটে হাত ধুতে KORE! হঠাৎ চোখ পড়তেই মতিলাল অব৷ক ৷ বাঃ বেশ তো, ডাগর মেয়েটি, সাদাপানা গায়ের রং । কে মেয়েটি, সতীশবাবুর কি হয় ? আমিনবাবুকে একভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে পারুলবাল৷ ফিক্‌ করে হেসে মুখের জল ফেলে লজ্জিত মুখে চলে যায় | সেদিনের মাপের বিচারের রায়ে হারাধনবাৰু খুলী হতে পারেনি যাবার সময় বলে গেল, “বেশ, তজদিণের সময় দেখা যাবে। সেখানে তো হাকিম বসবে ।” সেই ছুপুরে আমিনবাবু সতীশবাবুর = আতিথ্য গ্রহণ করল | গ্রামের যে বাড়ীটায় মতিলাল থাকত, সেটি একদম গ্রামের প্রান্তে একটা বটগাছের নাচে। প্রত্যহ রাত্রে বিবদমান লোকদের কথা শোনা,' তাদের একটা উপায় করে দেবার পক্ষে স্থানটি ছিল চমৎকার নিরিবিলি | সমস্ত দিনের কাজের পর একট! সতরঞ্চি পেতে দাওয়ায় বসে মতিলাল বিশ্রাম করত আর চেনম্যান বংশীবদন aA চাপাত | পারুলব।লাকে কিছু দিন দেখে দেখে, তার মুখের মিষ্টি হাসিতে সাড়া পেয়ে এই ছন্নছাড়া জীবন আর ভাল লাগেনি তার। কথায় কথায় সতীশবাবু কেএকটু আভাস দিতেই তিনি রাজি হয়ে গেলেন। কারণ, যখন জমি জমা চাষ ক'রে, প্রজার খাজনা আদায় করেই খেতে হবে তখন সরকারি আমিনবাবুকে হাতে রাখাটাই সমবিধাজনক। তার . উপর



Leave a Comment