মানুষের মন ও শিক্ষাপ্রসঙ্গ | Manusher Mon O Shikshaprasanga

৪ মানুষের মন ও শিক্ষা aH অবশ্য অনেক সময় এ সমস্ত প্রাচীন ধারণা অত্যন্ত স্থল, অসম্পূর্ণ এমন কি হাস্যযকরভাবে ভ্রমপূর্ণ ছিল--যেমন, মনে করা হইত যে AHS (liver ) হইতে নির্গত পিত্তরস ( bile ) ক্রোধের মূল কারণ, চন্দ্রালোক মস্তিষ্কে বায়ুকে প্রকৃপিত করে এবং তাহাতেই THe উন্মাদ হয় STH | যাহা হউক, শব ব্যবচ্ছেদের ব্যবস্থার পর হইতে দেহযন্ত্র ও তাহার fan সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতে থাকে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমর] তাহাকেই বলিব যাহার সত্যতা পরীক্ষা করিয় দেখা যায়, কিন্তু জল্পনা নিতাস্তই কল্পনা ও অনুমানভিত্তিক । এ সম্পর্কে বেকন্‌ (১৬০৫ খ্রীঃ:অ:) একটি কৌতুককর উপাখ্যান বর্ণনা করিয়াছিলেন । “১৪৩২ খ্রীষ্টাব্দে পণ্ডিতদের মধ্যে ঘোড়ার মুখে কয়টি দাত আছে, এই গুরুতর প্রশ্ন নিয়া তুমূল কলহ উপস্থিত হয়। তের দিন যাবৎ ইহা নিয়] বিরামহীন বিতর্ক চলে । বিভিন্ন পণ্ডিতের পক্ষ হইতে প্রচুর “tals প্রমাণ, প্রাচীন দার্শনিকগণের মতামত, <2 পুর।তন পু'থিপত্র উপস্থাপিত হইল। কিন্ত প্রশ্নের কোন মীমাংসা হইল না। চতুর্দশ দিবস প্রাতঃকালে AS] পুনরায় সমবেত হইলে একজন wets তরুণ সন্ন্যাসী ( friar ) we বিনীতভাবে এ বিষয়ে সামান্য কিছু বলিবার জন্য গুরুজনদিগের অনুমতি প্রার্থন। করিলেন। তিনি বলিলেন ঘোড়ার কয়টি দাত আছে তাহার সহজ ও একমাত্র Daal হইতেছে ঘোড়ার মুখ খুলিয়৷ তাহার দাত কয়টি গুণিয়া দেখা। তাহ।র এই বীভৎস, অশ্রুতপূর্ব অর্বাচীন প্রস্তাবে সমবেত সজ্জনমণ্ডলী এমনই ক্রুদ্ধ ও অপমানিত বোধ করিলেন যে সকলে fafa উত্তম-মধ্যম দিয়া যুব+টিকে সভাক্ষেত্র হইতে বহিষ্কার করিয়] দিলেন | তাহারা fea করিলেন দুষ্ট শয়তান এই তরুণ বিদ্যাগীকে উন্মার্গগামী করিয়াছে সেই জন্যই সে প্রাচীন ও শাস্ত্রীয় প্রমাণ অগ্রাহ করিতে সাহসী হইয়াছে। আরো বহু দিবস বিতর্ক ও জল্পন।র পরে শাস্তি-কপোত সভাস্থলে অবতীর্ণ হইল এবং সমবেত বিদ্বজ্জন ইহাই faa করিলেন যে এই গুরুতর প্রশ্নট একটি গভীর চিরস্তন zea বং উপযুক্ত শাস্ত্রীয় ও এতিহাসিক প্রমাণের অভাবে ইহার চূড়ান্ত মীমাংসা সম্ভব নয়। সভার কর্মবিবরণীতে ইহাই লিখিত হইল” > শরীরতত্বের ক্রমশঃ উন্নতিসত্বেও বহুকাল যাবৎ মনস্তত্ব জল্পনা ও fava ভিত্তিক দর্শনশাস্তরের অন্তর্গত হইয়াই রহিল । আধুনিক ইয়োরোপের ১: Quoted from C. E. Kenneth Mees, “Scientific Thought and social Reconstruction’ — Electrical Engineering 1934, 53, P. 383-’84