সুকান্তের জীবন ও কাব্য | Sukanter Jiban O Kabya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
FTCA যুগ ও জীবন 'ইনজেক্শান' নিতে হবে 'অক্সিজেন টা পরে, তারপরেতে দেখব এ রোগ থাকে কেমন PCS” পল্লীগ্রামের বদ্যিনাথ অবাক হল ভারী, সর্দি হলেই এমনতর ? ধন্য ডাক্তারী!! এবং প্রায় একই সময়ে মাসতুতো ভাই এবং FR ভূপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের হাতে-লেখা পত্রিকা 'নাগরিক”-এর জন্য CICS ছড়াটি : স্বাধীন হবে ভারতবর্ষ থাকবে না THA, আমরা সবাই স্বরাজ-যল্ঞ্ে হব রে ইন্ধন! বুকের রক্ত দিব ঢালি স্বাধীনতারে, রক্ত পণে মুক্তি দেব ভারত-মাতারে। মূর্খ যারা অজ্ঞ যারা যে জন বঞ্চিত তাদের তরে মুক্তি-সুধা করব সঞ্চিত। চাষী-মজুর দীন দরিদ্র সবাই মোদের ভাই, একস্বরে বলব মোরা স্বাধীনতা চাই।! থাকবে নাকো মতভেদ আর মিথ্যা সম্প্রদায়, ছিন্ন হবে coma গ্রন্থি কঠিন প্রতিজ্ঞায়। আমরা সবাই ভারতবাসী শ্রেষ্ঠ পৃথিবীর আমরা হব মুক্তিদাতা আমরা হব বীর।। তখন ১৯৪০ সাল। স্বাধীনতার জন্য পরাধীন ভারতের আন্দোলন তখন দুর্বার। স্বাধীনতার জন্য কত মানুষ শহীদ হয়েছে। এই আন্দোলনে প্রয়োজন দীন দরিদ্র চাষী-মজুর সকলের একতা | সাম্প্রদায়িক বা অন্য কোন মনভেদ যেন এঁ আন্দোলনকে দুর্বল না BCA | এর সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করব। সুকাস্তের মনে তখন এই আন্দোলন কী প্রেরণা সৃষ্টি করেছিল এখানে তার স্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। FBG যে কবি এবং সুকান্ত যে লেখক সেটা আর চাপা রইল না অস্তত আপনজনদের কাছে। এই আপনজন বলতে স্পষ্টতই সহপাঠী সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুরা এবং দাদারা। এ-প্রসঙ্গে সুকাস্ত-অনুজ অশোক ভট্টাচার্য অরুণাচল বসুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “CAH হাইস্কুলে সুকাস্তর সব থেকে বড় লাভ অবশ্য অরুণাচল বসুর সঙ্গলাভ। কেননা, বন্ধুদের মধ্যে অরুণাচলই তার কবিজীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অধিকারী | এর কারণ আর কিছুই নয়, তার মধ্যে সুকাস্ত পেলেন এমন একজন অস্তরঙ্গ MACS যীর জীবনে শিল্প ও সাহিত্য কেবলমাত্র সৌখিন আত্মবিনোদনের উপায় মাত্র ছিল না, ছিল আত্মপ্রকাশের অপরিহার্য মাধ্যম। স্বভাবতই লাজুক সুকাস্তর পক্ষে, যিনি তখন পর্যস্ত কবিতা ভিন্ন অন্য সব ক্ষেত্রেই নিজেকে রেখেছে সঙ্কুচিত করে, এহেন সমময়ীকে সর্বদা নাগালের মধ্যে পাওয়াটা Gale নগণ্য ঘটনা ছিল না। অরুণাচলেরা তখন থাকতেন বেলেঘাটার Mey এক পল্লীর ফাঁকা মাঠের মধ্যে ঘেরা একটি বাড়িতে । বাড়িটি ছিল মেয়েদের স্কুল। সেই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন অরুণাচলের মা সরলা দেই) সরলা দেবী নিজেও ছিলেন একজন লেখিকা। তাই তাঁর কাছে সুকাস্তর একটা



Leave a Comment