আশাপূর্ণাদেবীর রচনা সম্ভার [খণ্ড-৫] | Ashapurnadebir Rachana Sambhar [Vol. 5]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
* ( vii ) হল না। তার চরিত্রে অপেক্ষাকৃত প্রশাস্ততা এল, আগের মত আঁর সে তর্ক করে না, We করে না, উত্তেজিত হয়ে নিষ্ফল প্রতিবাদে আর লিপ্ত হয় না। এখানে স্থবণলত৷ চনলিত্রে লেখিকা এনে দিয়েছেন মনস্তাত্বিক গভীরত|। একট! নির্লিপ্ত বেদনা স্থবর্ণলতাকে ঘিরে রয়েছে। আগে Vator পরিবেশের সংকীর্ণতা যতই উগ্র Hey করে GAs, তাকে বোঝা কিছু শত্ত ছিল না। তাঁর স্বামী a দেওর ভিন্ন স্তরের কুচি দিয়ে তার সহমর্মী হতে না পারলেও স্থব্ণলতাকে চিনে নেওয়া কখনোই তাদের কঠিন হয়নি। কিন্তু উপসংহার পর্বের স্বর্ণলতাকে তাদের coal কঠিন হয়েছে কেননা তার অভিজ্ঞতা তাকে যেমন করেছে Ts, তেমনি করেছে অভিমানী । তাই মৃত্যুশযাযায় স্বামী যখন জানতে চাইলেন কাউকে তার দেখতে ইচ্ছা হয় কিনা, তখন সে এমন একজনকে দেখতে চাইল যে স্বাভাবিক প্রত্যাশার মধ্যে পড়ে না। তার এই জীবনব্যাপী অভিমানকে তার স্বামী ও বুঝতে পারলেন না, যিনি একদিনের জন্যও স্থবর্ণলতার সাপ্নিধ্য ছাঁড়া হন নি। উপন্যাসটি শেষ কর|র পর Rafat ট্রাজেডি পাঠককে এক অপরূপ faery Va করে দেয়। আর বিস্মিত করে লেখিক!র বক্তবোর গভীরতা । এই উপন্যাসে কোনে! নাটকীয় ঘটনা] নেই, এমন একটি ঘটনা নেই যা আমাদের নিতাপরিচিতের মধ্যে নেই! এ-সব কাহিনী এতোই সাধারণ, এতে।ই ঘরোয়। যে তাই দিয়ে দীর্ঘ উপন্যাসের কাহিনীকে চালিয়ে নিতে কেউ করতে পারতেন কিনা সন্দেহ । এমন কি ওই পরিবারের বাইরে একটি নাগরিক জীবন আছে, সেখানে নানা মানুষের WSs, নানা কর্মচঞ্চলপতার আলোড়ন। বৃহৎ ওই সমাজ AIAG বাক্তি জীবনকেও আহত প্রহত করে তোলে। গার্হস্থ্য কাহিনীর পটভূমিতে ওই বৃহৎ সমাঙ্গ জীবনের চাঞ্চল্য আণাপূর্ণার উপন্কাসে অনুভব করা যায় না। তাঁর কাহিনী একান্তই পরিব|রকেন্দ্রিক। এই পরিবারকেন্দ্িক তাৎপর্যহহান দৈনন্দিন সংসারযাত্রার ঘটনাকে Wath উপন্যাসের কাঠামো করে তুলেছেন। সুৰর্ণলতার প্লট বলতে কিছু নেই কিন্তু থীম আছে, আর আছে একটি গভীর জীবনবোধ। এটাই আশ্চর্য । এত afefecarag মধ্যে এতখানি fasta লেখিক! ভরে দিয়েছেন। আজকাল অনেক্েই উপন্যাস ও গল্প দুইই লেখেন | বাংলায় গল্পের ফলন WER এবং তাঁদের সার্থকতাও অসাধারণ! আশাপূর্ণার মতো প্রতিভাশ।লিনীও এই দুই দিকেই আপন চিহ্ন উজ্জ্বল করে রেখেছেন | Wate এ-ব্যাপারটায় খুব একটা নতুনত্ব আছে বলে মনেহয় না। কিন্তু অভিনবত্ব অন্য দিক দিয়ে | বল! দরকার উপন্যাস লেখার রীতিপদ্ধতি যেমন বন্কিমচন্জ্রের যুগ থেকে এ-যুগে অনেক বদলে গিয়েছে, গল্প লেখার পদ্ধতিও তেমনি যথেষ্ট বলে গিয়েছে। আগে উপন্যাস ছিল নাট্যধর্মী--ঘটন!র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাল] রচনা করে গড়ে উঠত উপন্তাস। নাটক cat সংক্ষিপ্ত এবং অত্যন্ত পরিমিত আর্ট। বীজ থেকে অঙ্কুর, অঙ্কুর থেকে তরু, এমনি একটি রেখাক্রমে নাটকের ঘটন! এগিয়ে যায়। তার একটি পর্যায়ে কার্যকারণের ফাক থাকলে প্লট তার সমগ্রতা হারায়। নাটকের এই প্লট-নির্ভরতা উপন্যাসেরও লক্ষণ হয়েছিল । জীবন থেকে BATH ঘটনার মালাকে বাছাই করে নিতে হবে। রোজকার নিত্য অভ্যস্ত ঘটন'র cme যোগ্যতা নেই। সেকালের দিনে ইতিহাস অনেক অসাধারণ ঘটনার জোগান দিয়েছে। ইতিহাস না দিলে আধুনিক কাল দিয়েছে কিন্তু তাকে অক্কিঞ্চিৎকর বর্ণবিরল ছলে চলে নি। চোখের বালিতে ইতিহাসের প্লট নেই বটে, কিন্তু ঘটনার কাধকারণগত যোগ আছে এবং সেই যোগ ভাবগত বাঞ্জনায় অসাধারণত্ব অর্জন করে। ; উপন্যাসের এই শিল্পরূপটি শরৎচন্দ্র এবং তারে HAIN কালে অব্যাহত হয়ে এসেছে। কিন্তু ad যে উপন্যাসে থাকতেই হবে'এ-বিশ্বাসও ক্রমে ক্রমে মিলিয়ে যেতে লাগল। শরৎচন্দ্র



Leave a Comment