For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬ বিষয় £ বৌদ্ধধর্ম পরমেশ্বর, গুরুর পাদপূজা করিতে হয়, যাহা ব্রাহ্মণের একেবারে নিষেধ, সেই গুরুর
উচ্ছিষ্ট ভোজন করিতে হয়, গুরু Paya সর্বস্বের অধিকারী, যে শিষ্য ধনজন, আপন
Ha ও দেহ পর্যন্ত গুরুসেবায় নিয়োগ করিতে পারে সেই পরম ভক্ত। বৈষ্ণবের
মতেও তাই। GATS তৃপ্ত না হইয়া অনেকে এখন কর্তাভজা হইতেছেন। তাঁহারা
বলেন, “গুরু সত্য, SHANA, A করাও তাই করি, যা খাওয়াও তাই খাই, যা বলাও
তাই বলি।” 'নারায়ণ', অগ্রহায়ণ, ১৩২১ নির্বাণ বৌদ্ধধর্মের নির্বাণ বুঝিতে গেলে অনেকগুলি কথা বুঝিতে হয় ; এবং সেই-
সকল কথা বুঝিয়া উঠাও অতি কঠিন। মোটামুটি ধরিতে গেলে নির্বাণ শব্দে নিবিয়া
যাওয়া বুঝায় প্রদীপ যেমন নিবিয়া যায়, তেমনই মানুষ নিবিয়া গেল। প্রদীপ নিবিয়া
গেলে কিছু থাকে না ; মানুষ নিবিয়া গেলেও কিছু থাকে না। একথাটা, শুনিতে
যত সোজা, ভালো করিয়া বুঝিতে গেলে তত সোজা নয়। প্রদীপ নিবিয়া গেল,
আর কিছু নাই, একেবারে শেষ হইয়া গেল ; কিন্তু মানুষ নিবিয়া গেলে কি সেইরূপ
একেবারে শেষ হইয়া যায়? একেবারে 'নিহিল” হইয়া যায়? একেবারে 'এনিহিলেশন”
হইয়া যায়? একেবারে AH’ হইয়া যায়? এইখানেই গোল বাধিল। আমি একেবারে
থাকিব না, এবং সেইটিই আমার জীবনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হইবে? আমি
তপ জপ, ধ্যান ধারণা করিব, শুদ্ধ আমার অস্তিত্বটি বিলোপ করিবার জন্য? এ
তো বড়ো শক্ত কথা। *
অনেকে মনে করেন, বুদ্ধ এইরূপ আত্মার বিনাশই নির্বাণ শব্দের অর্থ করিয়াছিলেন।
এইজন্য অনেক পাদরি সাহেবেরা বলেন, বৌদ্ধেরা নিহিলবাদী বা বিনাশবাদী। বুদ্ধ
নিজে কী বলিয়াছিলেন, তাহা আমাদের জানিবার উপায় নাই। তাঁহার নির্বাণের
পাঁচ শত বৎসর পরে লোকে তাঁহার বক্তৃতার যেরূপ রিপোর্ট দিয়াছে, তাহাই আমরা
দেখিতে পাই। তাহাও আবার তিনি ঠিক যে ভাষায় বলিয়াছিলেন, সে ভাষার তো
কিছুই পাওয়া যায় না। পালি ভাষায় তাহার যে faces তৈয়ারি হইয়াছিল, সেই
রিপোর্টমাত্র পাওয়া যায়। তাহাতেও এরূপ প্রদীপ নিবিয়া যাওয়ার সহিতই নির্বাণের
তুলনা BAS লোকে বুদ্ধদেবকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়াছিল যে নির্বাণের
পর কী থাকে। সুতরাং নির্বাণে যে একেবারে সব শেষ হইয়া যায়, তাহার শিষ্যেরা
সেটা ভাবিতেও যেন ভয় পাইত। বুদ্ধদেব সে কথার কী জবাব দিলেন, আমরা
পরে তাহা বিবেচনা করিব।