গল্পে আত্মবিদ্যা [খণ্ড-১] | Galpe Atmabidya [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চৌদ্দ আপনবোধের তথা আত্মবোধের পরিপূরক ও সম্পূরক। কোনও কোনও গল্পের মধ্যে তত্ত্ব স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রকাশ পাওয়ার তার তাৎপর্য সহজবোধ্য নয় বলে তার তত্তবিশ্লেষণ গল্পের শেষে দেওয়া হয়েছে। গল্পগুলির বিষয়বস্তু সবই গতানুগতিক দৈনন্দিন জীবনের, পারিবারিক ও পারিপার্্বিক পরিবেশ ও পরিজন, প্রিয়জন, আপনজন, জ্ঞাত-অজ্ঞাত অর্থাৎ চেনা-অচেনা লোক, বিষয়বস্তু সবকে নিয়েই গল্পগুলি আত্মপ্রকাশ করেছে। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হল গল্পগুলির মাধ্যমে শ্রোতা ও পাঠককে নিজস্বরূপ সম্বন্ধে অভিহিত বা সচেতন করা এবং তদ্বোধে প্রতিষ্ঠিত করা। ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাববোধ সহযোগে মানুষের বৈচিত্র্যময চরিত্রের পরিচয় যেমন পাওয়া যায় তাদের আচরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে, তেমনই আত্মবিদ্যার সূক্ষ্ম, গভীর অনুভূতির ধারাটিও AISA রক্ষিত BAL! সহৃদয় পাঠক GING মনোযোগ সহকারে গল্পগুলি অধ্যয়ন করলে তার অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন আত্মবোধের পরিচয় অবগত হতে পারবে। স্বাত্মবোধের সিদ্ধিপ্রদ আত্মবিদ্যার অভিনব এই বিজ্ঞানটি পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়া হল স্বাত্মবোধে সবাইকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। বর্তমানে এমন একটি সময় উপস্থিত হয়েছে যখন রাষ্ট্রে, সমাজে ও পরিবারে কোথাও মানুষের সোয়াস্তি, সুখশাস্তির কোনও নিশ্চয়তা নেই। সাধনভজন করার সময়সুযোগও নেই এবং সবার পক্ষে তা সম্ভবও নয়। নানাবিধ প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে অনুকূল যেখানে কিছুই নেই, সেখানে অধ্যাত্মসাধনার উপযোগী পরিবেশ, সঙ্গ, আহার, শিক্ষা, অনুশাসন, স্বাস্থ্য, সংস্কার, যোগ্যতা--এ সবেরই অভাব। সেই জন্য সময়োপযোগী গল্পে আত্মবিদ্যা গ্রন্থটে প্রকাশ করা হল। এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু হল কতগুলি তত্তবভিত্তিক গল্প, যা পাঠে ও অনুধ্যানে গল্পের তত্ত্ব পাঠক প্রত্যক্ষ ভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে স্বহৃদয়ে, আপন হৃদয়ে আপনবোধের মাধ্যমে। এক পরমাত্মদেবতাই সর্বভূতে অর্থাৎ সবার হৃদয়ে সবার আত্মারূপে বিরাজমান তারই অভিব্যক্তি জীবনে সবার হৃদয়ে স্ববোধ-আত্মারপে, অহংদেব বা পাকা আমি রূপে, অস্তরে স্বভাব আত্মা, অহংকার বা কাঁচা আমি রূপে এবং বাইরে বহিঃপ্রকৃতিতে সেই পৃথক জীবভাবে নিজেকে প্রকাশ ক্রছে। VBA ও বাইরে সবাই নিজেকে অপর অপেক্ষা এবং অপরকে নিজ অপেক্ষা পৃথক ভাবে দেখে, শোনে, জানে, বোঝে এবং সেই মতো আচরণ বা ব্যবহার করে। তাই একাত্মবোধ সবার হৃদয়ে নিহিত থাকা সত্ত্বেও তার অনুভূতি বা জ্ঞান আবৃত থাকে নিজ বুদ্ধিদোষে। সেই বুদ্ধিদোষকে একাত্মবোধের অনুভূতিতে বা জ্যোতিতে শোধন ও নির্মূল করার জন্য গল্পের মাধ্যমে একাত্মবোধের বিজ্ঞানকে পরিবেষণ করা হয়েছে সবার কাছে। উক্ত গ্রন্থ পাঠে সেই একাত্মবোধের প্রকাশবিকাশ পাঠকের হৃদয়ে স্বতঃস্ফূর্ত হবে। তখন পরস্পরের মধ্যে ভেদজ্ঞান বা পার্থক্য পূর্বের মতো থাকবে না। একাত্মবোধে যিনি প্রতিষ্ঠিত ও অনুভবসিদ্ধ হয়েছেন তার জীবন সার্থক। তিনিই অমৃত মুক্তি শাস্তির দিব্য অধিকারী। তিনি ধন্য ও কৃতকৃত্য। তিনিই যথার্থ ধনী ও ভাগ্যবান পুরুষ। সর্বত্র তারই জয়, জয় তারই, তারই জয়।



Leave a Comment