For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)তারিখেও তিনি হরিদাস চট্টোপাধ্যায়কে লিখেছিলেন--“"দেখছি ১২৫ এর
কষে মাস চলে না।---আফিংই ত লাগে ১৪।১৫ টাকা ।* | শরংচন্দ্রের বিশিষ্ট বন্ধু গুপন্যাসিক চারুচন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন-_ বসে (শরৎচন্দ্র ) স্বদেশকে বড় SAAS! যে কেহ স্বদেশের জন্য কষ্ট
স্বীকার করিয়াছে, সে তাহার পরমাত্মীয় ean গিয়াছিল। এইরূপ কত
লোককে যে সে সাহায্য করিয়াছে, তাহার ইয়ত্তা নাই। রাসবিহারী ay
যখন পলাইয়। যাইবেন, তখন একজন আলিয়া শরৎকে বলিল--সাত হাজার
টাকা না দিলে, রাসবিহারী সীমান্ত পার হইয়৷ পলাতক হইতে পারে না।
রাজি তখন এগারটা ; শরৎ চিন্তিত হইল । তাহার হাতে অত টাকা নাই।
সে অবশেষে মাড়োয়ারীর কাছে গিয়। হাগুনোট fafan টাকা atm
রাসবিহারীবাবুকে উদ্ধার করিল।” ( প্রবাসী-কাতিক, ১৩৪৫ ) চারুবাবুর এ লেখাটি সম্পূর্ণ ভুল । কেননা, শরৎচন্দ্র রেঙ্গুন থেকে ফিরেই
এসেছিলেন ( এপ্রিল ১৯১৬ ) রাসবিহারী বস্তু পলাতক হওয়ার ( gare
১৯১৫ ) প্রায় এক বছর পরে । আর শরৎচন্দ্র রেঙ্গুন থেকে চলে আসার পর
বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত তার আখিক অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তাই তিনি
তখন অত টাকা কারও কাছে ধার চাইলে, কেউই ধার দিত না। রাসবিহারী বস্তু কবে কিভাবে পলাতক হয়েছিলেন, সে সম্বন্ধে দেশের
মুক্তিকার্ষে তার সহকর্মী ও তার জীবনী লেখক নলিনীমোহন মুখোপাধ্যায়ের
লেখা! থেকে এখানে কিছুটা উদ্ধত Fafe— “১৯১৫ সালের ১৫ই জ্বলাই খিদিরপুর ডক হইতে “সানুকিমারু' নামক
একটি জাপানী জাহাজ জাপান যাওয়ার কথা ছিল । অতএব সেই জাহাজেই
রাসবিহারী জাপানাভিমুখে যাত্র। করিবেন বলিয়৷| স্থিরীরুত হইল ।*-- গিরিজাবাবু (নগেন্দ্রনাথ দত্ত) তখনও ধরা পড়েন নাই। কাজেই
রাসবিহারীর জাপান যাত্রার সমুদয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় অর্থাদি সংগ্রহ ইত্যাদি
কার্য তিনিই সুন্দররূপে সম্পন্ন করিয়াছিলেন। গিরিজাবাবুই 'খিদিরপুর ডকে
faa রাসবিহারীকে সম্বর্ধনা জানাইয়! আসেন ।” (বিপ্লবীবীর রাসবিহারী বসু) এইরূপ উপেম্্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, নরেন্দ্র দেব প্রভৃতি শরংচন্দ্রের আত্মীয়
এবং বন্ধুদের শরৎচন্দ্র সম্বন্ধীয় লেখাতেও কিছু কিছু ভুল থেকে গেছে। [6]