গুরুদেব | Gurudeb

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ গুরুদেব যাতে করে গুরুদ্বেব এই কথা বেমালুম তুলে যান। আর ওগুরুদবেবও যেন কেমন, ভিড়ে-তাঁড়েই আবার বলে বসবেন এ কথা। কলাভবনে ছাত্রী তখন আমি; গুরুদেব সে সময়ে প্রায়ই আশ্রমে হঠাৎ চলে আসতেন। কলাভবনে প্রায়ই আসতেন। তখন সবে একটা বড়ো হল্‌-ঘর হয়েছে কলাভবনে, তখনকার কালে এ ঘরটিই ছিল সব COTTA | গুরুদেব চলে এলেন একদিন সেখানে | গুরুদেবকে আমতে দেখে অন্যরা-- ছাত্রছাত্রীশিক্ষক যে যেখানে ছিল, সব বিভাগের সবাই এসে জড়ো হল হল্‌-ঘরে। সে-সব দিনে ক্লাসের ঘণ্টা সময় নিয়ে অত কড়াক্কড়ি ছিল না-_ নিয়মের বাধন ছিল না। গুরুদ্বেৰ কোনোদিন ছবি, কোনোদিন সাহিত্য, কোনোদিন-বা এ জগতের জীব-জীবন নিয়ে গভীর হতে গভীরতর কথা বলে শোনাতেন । সেদিনও তেমনি অনেকক্ষণ ধরে বললেন | সবাই মগ্ন, স্তব্ধ | কথাশেষে নন্দদার সঙ্গে কলাভবনের স্মবিধে অস্থবিধে নিয়ে কথা উঠল। আশ্রমের সর্বত্রই তো এই এক HI | টাকার asta: নন্দ! জানান, মিউজিয়ামের ঘর বাড়াতে হবে, পুরাতন ছবিগুলি রাখতে গোটা ছুই কাঠের বাক্স চাই, কলাভবনের ছেলেদের হোস্টেলের খড়ের চালটা এবারে পালটাতেই হবে, ইত্যাদি। গুরুদেবও ভেবে পান না কি তাবে এ টাকার ব্যবস্থা করা যায়। লোকের কাছে চেয়ে-চিস্তে ডোনেশন আর কতই-বা আসে ? গুরুদেবের কৌতুকপূর্ণ এক বিশেষ ভঙ্গি ছিল-_ হঠাৎ সেই ভঙ্গিতে তিনি এক পলক আমার fics তাকালেন, এমনভাবে তাকালেন যে সকলেরই দৃষ্টি আৰুর্ষণ করলেন cas দিকে। পরমুহূর্তেই গম্ভীর মুখে বলে উঠলেন, তা নন্দলাল, ভাবছ কেন এত ? মাত্র তো Hew পাঁচ আনার মামলা-- স্তনে দু হাটুর মধ্যে মাথা গুজে বসলাম। গুরুদেব হাদলেন। নন্দমা হাসলেন, ছেলেরা হেসে উঠল, মেয়েরা তো হাসতে হাসতে মেঝেতে লুটিয়েই পড় । এমনিই হত বার বার। ছাত্রীজীবন পার হল, বিয়ে হল, সন্তানের মা হলাম; তখনো আমার সওয়া পাচ আন নিয়ে গুরুদ্বেব কোতুক করেছেন আর আমি সত্যিসত্যিই লজ্জায় জড়সড় হ্য়েছি। চৌরঙ্গীতে সেবারে বোধ হয় গুরুদ্বেব সপ্তাহ-তিনেক ছিলেন। গুরুদেবের আশ্রমে ফিরে যাবার- কথা উঠলেই ছু:চোখ ছলছল করে উঠত। ভাবতে পারতাম না এই পলেহ-ছাড়া হয়ে কি করে থাকৰ। মার .কাছে শুনেছি বাবার ya ইচ্ছে ছিল আমাদেরও আশ্রমে রেখে



Leave a Comment