দেবী চৌধুরানী | Debi Chowdhurani

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ দেবী চৌধুবাণী কিন্তু বৈকুষ্ঠপুর জঙ্গলের নাম Hunter-erre FAA আছে। এবং ভবানী পাঠক-দেবী চৌধুরাণীর OCT কেন্দ্র রঙ্গপুর অঞ্চলের 'জঙ্গল' এবং জিম্বোতা বা তিস্তা 'মদীটিও কাল্পনিক নয়। আচার্য যদুনাথ সরকার বলেন, “মুঘল যুগে মোঙ্গোল জাতীয় কোচ ও আহোম রাজ্য তখন বর্তমান রঙ্গপুর জেলার উত্তরের ও পুবের wate পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।” eats এই সীমান্তপ্রদেশ ছিল “রাজনৈতিক গোধুলি অরাজকতার বিশেষ সহায়ক ।” বন্কিমের স্ষ্ট বিদ্রোহীদের পথ স্থগষ করিয়া দিতে “তাহাকে কষ্ট কল্পনার আশ্রয় লইতে হয় নাই।” (ভূমিকা, শত-বাধিক সংস্করণ )। দেবী সচৌধুরাণী। উপন্যাসে উত্তরবঙ্গের “জঙ্গল' ভূমির যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তাহা লেখকের প্রত্যক্ষ দৃষ্ট। বঙ্কিমচন্দ্র নিজেই বলিয়াছেন, “যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ে সে দেশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এখনও অনেক স্থানে ভয়ানক জঙ্গল--কতক কতক আমি স্বচক্ষে দেখিয়৷ আসিয়াছি।” লেখকের এই উক্তিকে অত্যুক্তি বা অসঙ্গত বলা যায় না। রাজসাহী কমিশনারের পার্সস্তাল এ্রাসিষ্টাণ্ট থাকাকালে বা মালদহের রোড সেস্‌ কার্যের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালে এই সকল স্থান প্রত্যক্ষ দেখা অসম্ভব নয়। দেবী চৌধুরাণী' উপন্যাসে উত্তরবঙ্গের “নিবিড় জঙ্গল” বন্কিমচন্জ্রের বর্ণনায় জীবস্ত হইয়| উঠিয়াছে। সে জঙ্গলের নিবিড়তা, নির্জনতা ও দুর্গমতা প্রকৃতি-বর্ণনা হিসাবে সার্থক । অরণ্যের ভয়াবহতা যেন অসম সাহসী wT বরকন্দাজদের চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়। মিশিয়| একাকার হইয়া! গিয়াছে। afer প্রকৃতি wey চরিত্রের প্রতিরূপ। সাহিত্যে প্রকৃতি-বর্ণনা| সম্পর্কে তিনি বলেন, “কাব্যের অস্তঃপ্রকৃতি ও বহিঃ প্রকৃতির মধ্যে যথার্থ সম্বন্ধ এই যে, উভয়ে উভয়ের প্রতিবিদ্ব নিপতিত হয় ।” ১ ' উত্তরবঙ্গের “দুর্তেছ্ধ জঙ্গল” যেন লাঠি-সড়কি হাতে ‘saws যমের মত জওয়ান দের প্রতিমুতি; ইহার রহস্যময় ভয়াল সৌন্দর্য যেন “গায়ে নামাবলি, কপালে ফোটা, মাথা কামান ব্রাহ্মণ দস্থ্যসর্দার ভবানী পাঠকের মতই সুন্দর অথচ ভয়ঙ্কর | বন্কিমচন্দ্রের নিসর্গবর্ণন৷ আরও সার্থক হইয়া উঠিয়াছে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত খরধার পার্বত্য নদী ত্রিম্রোতার চিত্রলিপিতে। ডাঙ্গা আর জল--এই ছুই মিলিয়াই বাংলার প্রকৃতি | উত্তর-পূর্ববঙ্গে ডাঙ্গাপথে অরণ্য, আর জলপথে নদী যেন জীবনযাত্রার ১, বিবিধ প্রবন্ধ ? জয়দেব ও বিদ্বাপতি ( বন্ধিমচন্দ্র )।



Leave a Comment