সুভদ্রা অন্যান্য | Subhadra Ananya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২০ FSM অর্নন্যা না। তাহলে তারও একটা স্বার্থ ছিল। স্বার্থের চরিত্রটা মনের আবরণ খুলে দেখার কথা মনে হলো। অবচেতন মনের গতি বড় অদ্ভুত। বাইরে থেকে সব সময় তার গতিপ্রকৃতি টের পাওয়া যায় না। মানুষ নিজেও জানে না তার মনকে। তাই মনের বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে সে বড় অসহায়। বহুকাল পরে কৃষ্ণ নিজের মনের দিকে তাকিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করতে লাগল। প্রভাসের সমুদ্রবেলায় নিরুচ্চারে নিজের কাছে শপথ করল, যা সত্য তা যতই নিষ্ঠুর এবং স্বার্থবিরোধী হোক অকপটে নিজের কাছে তা মেলে ধরবে। দ্রৌপদীর মতো নারীরত্নকে নিজের ভার্যা করে পাওয়ার তারও লোভ ছিল। ও যদি পিতৃস্বসা Pela কুলবধূ না হতো তাহলে ঘটনাটা কোথায় শেষ হতো বলা কঠিন ছিল। এরকম একটা উদ্ভট চিন্তায় কৃষ্ণ সহসা চমকাল। চমকিত বিস্ময়ে সারা রোমকুপে তার কাটা দিল। মনের অতলে দ্রৌপদীকে ভার্যারূপে পাওয়ার কামনা তারও ছিল তা-হলে? অদ্ভুত লাগল। এ এক অদ্ভুত আত্মসমীক্ষা। Mes দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে কৃষ্ণ নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। তার কারণও ছিল অনেক । Meas প্রতিযোগিতায় একজন সাধারণ প্রার্থীর সমতলে নিজেকে নামিয়ে আনলে কৃষ্ণের কৃষ্ণত্ব থাকে না। PAY রক্ষা করতে হয়। সেজন্য অনেক ইচ্ছেই সংযত করতে হয়। এই অসাধারণত্ব যতদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবে ততদিন মানুষের কাছে তার সমাদর। এ কারণে দ্রৌপদীর স্বয়ম্তর সভায় লক্ষ্যভেদের প্রতিযোগিতায় কৃষ্ণ নাম লেখায়নি। কোনো কারণে লক্ষ্যভেদে অসমর্থ হলে বহুদিনের প্রয়াসে গড়ে তোলা বীরত্বের খ্যাতি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের গৌরব এবং মর্যাদা HAI ACS | তাই অবদমিত বাসনা সংযত করল কৃষ্ণ বিস্ময়ের সীমা নেই কৃষ্ণের। মনের এই রহস্যের সঠিক উৎসটা কোথাও না কোথাও লুকোনো ছিল, কেবল সে জানতো না। প্রভাসের নির্জন সৈকতে হঠাৎই তার অতল মনের অন্ধকার ঘরে দীপ জ্বলে উঠল। বিস্ময়ে নিজেকেই প্রশ্ন করল, বীর্যগুদ্কা বিজয়ী ছদ্মবেশী অর্জুনের পিছু নেওয়ার তো কোনো দরকার ছিল না। তথাপি লুকিয়ে লুকিয়ে তার পিছন পিছন গেল। শুধুই কৌতূহল ছিল, না অন্য কোনো আকর্ষণ ছিল? উত্তরটা কৃষ্ণ নিজেই দিল। বীর্যশুদ্কা বিজয়ীর ছঙগ্মবেশ তখনও উদ্ঘাটিত হয়নি। সেটা জানার জন্যই সে পিছন নিয়েছিল। Sea ভার্গবের গৃহে এসে জানল ছদ্মবেশী অর্জুন তার আপন পিতৃস্বসা Bela পুত্র। কিন্ত তার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই তৈরি হয়নি। এমনকি কখনও দেখেনি তাকে। কোনোদিন তার খোঁজ খবরও করেনি। সংকটকালে কু্ভীও চায়নি বাপের বাড়ির



Leave a Comment