নিবেদিত নিবেদিতা | Nivedita Nivedita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভারতের ANA কথাগুলো সে শুধু পড়ে শোনাল-- মার্গারেট তুমি এস। তোমার মত নারীর, তোমার মত কন্যার প্রয়োজন যে ভারতবর্ষের কত গভীর তা আমি ভাষায় প্রমাণ করতে পারব না। স্বামীজির প্রত্যয়ভরা বিশ্বাসের মধ্যে এমন একটা গভীর আন্তরিকতা ছিল যে মা Ay বলে তাকে নিরাশ করতে পারল না! যীশুর ছবির দিকে মুখ করে বলল : প্রভু সবই তুমি স্থির করে রেখেছ। তা-হলে, আমার অনুমতি নেয়ার খেলা করছ কেন? এই যদি তোমার ইচ্ছে হয় তবে আমি বাধা দেবার কে? তোমার পায়ে ওকে সঁপে দিলাম। তুমি ওর দেখভাল কর। সিঁড়ি ভেঙে ডেকে ওঠার সময় বারংবার মনে হচ্ছিল ; সে অতান্ত সাধারণ মেয়ে! ভারতের সন্ন্যাসী তার মধ্যে এমন কি খুঁজে পেল যে অনন্ত দাবি আর প্রত্যাশা নিয়ে মন উজাড় করে লিখল-- মার্গারেট তুমি এস। তোমার মত নারীর প্রয়োজন যে ভারতবর্ষের কত গভীর তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমরণ আমি তোমার পাশে থাকব। অমনি একটা উপচানো আনন্দে ও অসহনীয় সুখে তাকে ভেতরটা টইটম্বর হয়ে গেল। যাবেই বা না কেন? এমন গভীর ভালবাসা, বিশ্বাস আর ASA নিয়ে কোনো পুরুষ যখন নারীকে ডাকে তখন ঘরের পলকা বন্ধনগুলো তার শিথিল হয়ে যায়। মনের মানুমের টানই বড় হয়ে ওঠে তার কাছে। তাকে অদেয় থাকে না কিছু। এরকম একটা GBS অনুভূতিতে GIS হয়ে সে একটার পর একটা সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে লাগল। ডেকের ওপর এসে দাঁড়াল মার্গারেট। মাথার ওপর মুক্ত আকাশ আর দিগন্ত জুড়ে শুধু জল আর জল। GH বকে যে ঢেউয়ের আলোড়ন চলেছে জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে মার্গারেট তা টের CHA! ননের মধ্যে তারও ঢেউয়ের দোলা । হাজার হাজার মাইল দূর থেকে সে ঢেউ ছুটে এসে তার মনের তঁটভূমির ওপর আছড়ে পড়ল। চারদিক থেকে মুক্ত বাতাস হু-ছ করে ছুটে আসছিল। লয় করে দিচ্ছিল তার সত্তা। বাতাসের সৌ-সৌ শব্দ লক্ষ লক্ষ শঙ্খের কলরোল হয়ে বাজছিল তার কানে। ভাবতে ভাল লাগছিল, সাত সমুদ্র তের নদীর পারে একজন মানুয উন্মুখ হয়ে তার পথের দিকে তাকিয়ে আছেন। আকুল প্রতীক্ষায় তার দিন কাটছে। পিপাসিত অনুভূতির প্রতিটি ag দিয়ে সে শুনতে পাচ্ছিল রাজার কণ্ঠস্বর। মার্গারেট, আমরণ আমি তোমার পাশে থাকব। পুরুষের জবানের নড়বড় হয় না। মধুর এক প্রসম্নতায় আবিষ্ট হয়ে গেল তার চেতনা। রাজার সহযোগিনী হওয়ার স্বপ্নটা তাহলে সত্যি হতে চলেছে। কল্পনায় দেখল ভূবনমোহন কূপের জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে রাজা আসবে তাকে নিতে 1 শুধু কোলকাতা বন্দরে গিযে পৌঁছনোর অপেক্ষা! বেশ কয়েকবার ভৌ দিয়ে জাহাজটা চলতে শুরু করল। ধীরে ধীরে চোখের সম্মুখ থেকে বন্দরের চিহ্ন মুছে গেল৷ ইংলন্ডের তটরেখা ঢাকা পড়ে গেল কুয়াশার AS | দেখতে দেখতে নীল সমুদ্রের বুকে অন্ধকার নিবিড় হয়ে এল। সব বাস্তবতা নিমঙ্জিত হল এক রহস্যময় অন্ধকারে | ১১



Leave a Comment