অগ্নিগর্ভ খাণ্ডব | Agnigarbha Khandab

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পাশে দাঁড়ায়। ARYA দেয়। অথচ দেখ তোমাদের ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য যুধিষ্ঠির ছাড়া একজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল না। কারণ গৃহহীন হওয়ার জ্বালা, দুঃখটা পাগুবদের মত এত বেশি কেউ জানে না। জ্যেষ্ঠ পাগুব ছোট ছোট ভাই এবং মাকে নিয়ে নিরাশ্রয় হয়ে পথে পথে ঘুরেছেন কতদিন। কত দুঃখ, কষ্ট সহা করেছেন। তাই সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েই খাগুবপ্রস্থের দুঃখী দুর্গত প্রজাদের সেবা করাকে ঈশ্বরের সেবা মনে করেন। তাদের ভাঙা ঘর নতুন করে গড়ে দিতে চান। তাদের নিজের জমিতে সোনার ফসল ফলানোর স্বপ্ন রচনা করে খাগুবপ্রস্থকে পৃথিবীর স্বর্গে পরিণত করতে চান। এ হল ঈশ্বরের রাজ্য । আর যুধিষ্ঠির হলেন ঈশ্বরের দেশের রাজা। তিনি হলেন ঈশ্বরের পুত্র। জীবনে কোনো অধর্ম করেননি। মানুষ “সত্যে সুন্দর হোক, মনুষ্যত্বে সুন্দর হোক, ধর্মে সুন্দর হোক'-_এটাই হল তার রাজ্যের মন্ত্র। কৃষ্ণের কথায় অভিভূত হল জনতা। এমন হৃদয় Mev মন কাড়া কথা আর কারো কাছে শোনেনি আগে। তবু নিষাদ দলপতির সন্দেহ হল কৃষ্ণকে, রোষ প্রকাশ করে বলল : তুমি বিশ্বাসঘাতক। আমাদের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে লোভ দেখাচ্ছ গোলাম করার জন্য। জীবনরহস্য বোঝার কৌতুক হাসিতে We হল কৃষ্ণের অধরযুগল। বলল : মনগড়া অর্থ করতেই পার। কিন্তু তাতে প্রকৃত সত্য চাপা পড়ে যায় না। দলপতির ভুলের মাশুল গোটা গোষ্ঠীকে দিতে হয়। যার যা ভাবনা তাকেই ভাবতে ws | আমার বন্ধুত্বে কপটতা নেই। একবর্ণ মিছে বলছি না। কোন কিছুতে আমার লোভ নেই। মধ্ুরার কৃষ্ণ আমি। চাইলেই মধ্ুরার রাজা হতে পারতাম। কিন্তু হইনি। মানুষের বন্ধুত্ব পেলেই আমি খুশি। কৃষ্ণের নাম শুনে নিষাদ দলপতি চুপসে গেল। শক্ত কথা বলার জোর পেল না মনে। আমতা আমতা করে বলল : আমাদের বেঁচে থাকাটাই এক মহাসমস্যা। ওদের কথাবার্তার মধ্যে ভিড় জমে গিয়েছিল। জনতার দিকে তাকিয়ে কৃষ্ণ বলল, সমস্যা ছাড়া জীবন হয়? সমস্যা সুরাহার জন্য তোমরা তো কিছুই করনি। উন্নতিটা হবে কোথা থেকে বল? এস আমরা সকলে মিলে কিছু করার কথা ভাবি। সম্প্রীতির পরিবেশ সকলের আগে ফেরাতে হবে। নিরাপত্তা এবং আস্থা সৃষ্টির কাজ করতে হবে সর্বাগ্রে। তারপরে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে হাত ধরাধরি করে এক মানবশ্ৃ্খল সৃষ্টি করল। মুহূর্তে জনপদের সড়কে এক দীর্ঘ মানুষের সারি হাত ধরাধরি করে কৃষ্ণের সঙ্গে উচ্চারণ করল : আমরা সকলে এক। বিপদ বাধার বিরুদ্ধে একসঙ্গে AGT! সুখেদুঃখে পাশাপাশি থাকব। আমরা আর একা নই। সকলে আমরা সকলের তরে। মানবশৃঙ্খল কথাটা জনতার কাছে নতুন। কিন্তু শব্দটার মধ্যে একটা নতুনত্ব আছে। তাদের মনে বিশ্বাস জন্মাল এটা কোনো ফাঁকা আওয়াজ কিংবা চমক নয়। হয়তো এই বোধটা খাগুব বনবাসীদের জীবনে এক নতুন আলো দেখাতে পারে। মানুষে মানুষে ২২



Leave a Comment