নিবেদিত মার্গারেট | Nibedita Margaret

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ইসারেল চেয়ার থেকে জোর করে তাকে টেনে তুলে বলল ঃ এখন ঘুমোতে যাও। এখন তোমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেব না। কিছুতে না। জেদাজেদি করলে মিথ্যে কথা বলব। মার্গারেট আদুরে গলায় বলল ঃ সত্য যত কঠিন হোক, আমার মা কখনও মিথ্যে বলবে না। কথাটা বলা শেষ করে মায়ের গালে চুমু দিল। ইসাবেলের স্বর কঠিন, CHAM শূন্য। বলল $ঃ এলিজাবেথ কি হচ্ছে? ছাড়। সব কিছু নিয়ে কি জবরদস্তি করা যায়? নিষ্ঠুরতার একটা সীমা আছে!-_ নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সশব্দে তার ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিল। পরেরদিন ঠিক ঘুম ভাঙল মার্গারেটের। সকাল সকাল স্নান করা মার্গারেটের অভ্যাস। স্নানঘরে ঢুকলে একটু বেশি সময় লাগে তার। চৌবাচ্চা ভর্তি জলের সামনে দাঁড়িয়ে স্তব্ধ হয়ে দীড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। নৈঃশব্দকে অনুভব করার ওই মন থাকে না সকলের | যাদের আছে, তন্ময়তার এ সময়টুকু বোধ হয় স্নানের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। সব সৌন্দর্যের শেষ থাকে। ফুরিয়ে যায় এক সময়। ফুরিয়ে যাওয়ার আগে নৈঃশব্দের শব্দহীন মৌন ভাষার অনুভূতি বিদ্যুৎ চমেকর মত এক তীব্র ভালোলাগায় হঠাৎই হৃদয় বাঁধা পড়ে। খুশিতে ভরে যায় ভেতরটা। মগ ভর্তি জল উপর্য্যপরি গায়ে ঢালতে ভীষণ ভালো লাগে তখন। দরজা বন্ধ থাকলেও AAI থেকে মার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলতে ফিরতে মেরী ইসারেল মুখস্থ বুলির মত বার বার আওরে যাচ্ছিল £ ওরে মে ওঠে AGT! অনেক বেলা হয়েছে মা। হারে রিচমণ্ড তোকে বাজারে যেতে হবে, ঘরে আনাজ নেই। আর দেরি করিস না বাবা! ও মার্গারেট এখনও স্নান হয়নি তোর। একটা বাথরুম। এতক্ষণ আটকে থাকলে অন্যেরা কখন করবে? ব্রেকফাস্ট দেয়া হয়েছে। চা বসিয়েছি। এবার দয়া করে বেরোও। তোমাদের জন্য বকর বকর করে আর পারিনা। একা-কতদিক সামলাই বলত? সোনালী চুলের ওপর তোয়ালে ঘষতে ঘষতে বাথরুম থে্কে বেরোল মার্গারেট। একগাল হেসে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল ? তুমি আমাদের সোনা মা। সারাজীবন আমাদের দিয়েছ শুধু। অনেক কিছু দিয়েছ এই GAA | এখনও দিচ্ছ সুখ, আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য, স্নেহ, মমতা, দয়া, করুণা, ভালোবাসা! কিন্তু আমরা ABN হয়ে তোমাকে কি দিলাম? মেরী ইসাবেল অবাক মুগ্ধতায় মার্গারেটের দিকে চেয়ে AUCH | চিবুক ধরে আদর করল, চুমু খেল। ACN বলল 8 তোরাও অনেক দিয়েছিস মা। তোদের ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, ভক্তিতে আমার পাওয়ার ঘর ভরে গেছে। আমার কোনো ক্ষোভ, দুঃখ্যু নেই। সম্ভানদের কাছে এমন করে আদর খাওয়া আর আদর ২২



Leave a Comment