জঙ্গল পাহাড়ী | Jangal Pahari

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
থেকে এস্তার ঠেঙাতে আরম্ভ করে। লোকটা Cee ফেলে গাঙের জলে লাফিয়ে পড়ে৷ জীবন ভাঙা ভাঙা গলায় বলে, আমারে ছেড়ে ate, নয়তো — -নয়তো আবার কি ? জঙ্গল এবারে সজোরে চেপে ধরে জীবনের গলা | বলে, যার নামে বনের বাঘ পালায়, তুই এইছিস তার সঙ্গে মস্করা করতি। হারামজাদা কোথাকার--হাত পা বেঁধে তোরে গাঙের জলে ফেলে দেবানে। ভালো চাস তো এখনো বল কার সর্বনাশ করিছিস ? জীবনও ছাড়ার পাত্র নয়, সাতজেলে-রাডঙাবেলে অঞ্চলের ডাকসাইটে ঠ্যাডাড়ে সে, রাত-বিরাতে নৌকায় ডাকাতি করাই তার পেশা :খুন-জঙ্গলেও কমতি যায় না। বে-কায়দায় পড়েও সে ফন্দি আটছে কি করে জঙ্গলের হাত থেকে ছিটকে নেরিয়ে পড়বে ! পানি সময় ভালোম।নুষের মতো চুপচাপ থেকে আচমকা এক ঝটকায় নিজেকে মুক্ত করে নেয়। মুহূর্তের জন্যে দিশেহারা হ্য়েও জঙ্গল ভুল করে না । জীবন জলে ঝাঁপ দেবার সঙ্গে সঙ্গে সে-ও ডিডির পাটাতন থেকে বাশের 'চলা' তুলে সজোরে আঘাত করতে যায় জীবনের মাথায় । চতুর জীবন সাগেই ডুব দেয়। জঙ্গল জলে ঝাঁপিয়ে পড়বে মনে করেও ঝাপ দেয় না। TCT বুকে অন্ধকার তেমন নয়, জঙ্গল লক্ষ্য করে ডুব-সীতার কেটে জীবন কিছু দূর সরে গিয়ে মাথা তুলছে। এবারে জঙ্গল সেদিকেই ডিঙি নিয়ে চলে। ইতিমধ্যে জীবনও মাথা তুলে “আওয়াজ” দিয়েছে 4 আওয়াজের ব্যাপারটা জঙ্গলের আজান নয়--যখনই ওরা ডিঙিতে ডাকাতি করে, তখনই গাঙ-পায়ে ওদের দলের কিছু লোকজন অপেক্ষা করে, বিপদ বুঝলে তার]! ছুটে আসে | জীবনকে পাকড়।ও করে THA! হাতে চুলের মুঠি ধরে জীবনকে ডিঙিতে তুলে জঙ্গল HIT ৰাঘের মতো গর্জন করে ওঠে । জীবনও রুখে avin) কিন্তু জঙ্গলের এক ঘু সিতে সে বেসামলে হয়ে পড়ে। চাপা গর্জন করে জঙ্গল বলে, তোর বিষদাত আমি ভেঙে দেবো--শয়তানের বাচ্চা কোথাকার | ভালে। চামতো পাড় টেনে চল--দেখি ara সর্বনাশ করিছিন। জীবন একেবারে কচ! হয়ে যায়। জঙ্গলের ডিঙির দাড়ে গিয়ে বসে । আর জঙ্গল তখন ATA] বন্দুকের AAD! জাঁবনের বুকের ওপর বাগিয়ে ধরে বেখেছে। এর মধ্যে জঙ্গল চারদিকে নঞ্জর রেখেছে। সে' জানে, জীবনের দলের আরো লোকজন নিশ্চয়ই কাছে পিঠে ডিঙি নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্ত এদিক ওদিক দেখেও তেমন কিছু চোখে পড়লো না। Se



Leave a Comment