সমাজচিত্রে ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা প্রহসন | Samajacitre Unavimsa Satavdira Bangla Prahasana

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পনেরো উনবিংশ Toten শেষার্ধব্যাপী এই আন্দোলন যে এক ব্যাপক এব' মর্বতোমুখী প্রক্রিয়ার সহষ্টি করিয়াছিল, একমাত্র সে যুগের প্রহসনগুলির মধ্যেই আমরা তাহার পরিচয় পাই, ইহার এত ব্যাপক এবং খুটিনাটি পরিচয় আর কোথাও পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে অনেকে সমসাময়িক সংবাদপত্রগুলির : উপর নির্ভর করিয়াছেন । কিন্তু একটি কথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, সমদাময়িক বাংলা সংবাদপত্রগুলি প্রত্যেকটি এক একটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের স্বার্থে পরিচালিত হইত; ইহাদের প্রত্যেকেরই এই বিষয়ক এক একটি আদর্শ ছিল; সেই আদর্শের দিকে লক্ষ্য রাখিয়াই তাহারা নিজেদের পত্রিকায় সংবাদ পরিবেষণ করিয়াছেন, স্থতরাং তাহাদের নিকট হইতে সেই আন্দোলনের সামগ্রিক রূপটি আশ] করা যায় না। সেই সংবাদগুলি বিচ্ছিন্ন পরস্পর সণ্পর্ক- হীন এবং নিজস্ব গোঠীর স্বার্থপ্রণোদিত ছিল; Wah একান্তভাবে তাহাদের উপর নির্তর ofan সে যুগের সামগ্রিক কোনও সামাজিক ইতিহাস রচিত হইতে পারে না। সাম্প্ররায়িক দিক হইতে সে যুগের সাময়িক পত্তিকাগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা Atl খৃষ্টান, ate এবং হিন্দূ_ইহারা যথাক্রমে খৃষ্টান ধর্ম প্রচারের মুখপত্র, ব্রাম্বধর্ম প্রচারের FAG, রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের মুখপত্র। দুই একটি “fae মুখ্যভাবে কোনও ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না করিলেও ইহাদের কোনও না কোনও গোষ্ঠীর ace স্বার্থ কিংবা আদর্শের দিক দিয়া জড়িত ছেল! ASI সংবাদপত্রে সেকালের কথায় এই তিনটি দৃষ্টিকোণ হইতে সমাজের যে খণ্ডিত চিত্র পাওয়া যায়, তাহ। দ্বারা সামগ্রিক সমাজের কোনও পরিচয় উদ্ধার করা যায় না। অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এই যাবৎ এই সকল খণ্ডিত, বিচ্ছিন্ন এবং পরস্পর অসংলগ্ন চিত্রগুলি উনবিংশ শতাব্দীর বাংলার সামাজিক ইতিহাসের উপাদান যোগাইয়৷ আসিতেছিল। সৌভাগ্যের বিষয়, Then সাহিত্য-গবেষণার ক্ষেত্রে কোনও কোনও সময় কোনও অধ্যবসায়ী তরুণ গবেষক্রে আবির্ভাব ঘটিতেছে এবং তাহাদের দীর্ঘকালব্যাপী নিরলস পরিশ্রমের ফলে বাংলা সাহিত্য এবং সমাজের ইতিহাস রচনার বহু অজ্ঞাত তথ্য আবিষ্কৃত হইতেছে। আমার পরম স্মেহভাজন ছাত্র অধুনা অধ্যাপক ডক্টর জয়স্তকুমার গোস্বামী এই শ্রেণীর একজন নিরলস গবেষণা- salt তিনি এম. এ. পরাঁক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার পর হইতেই অনন্যচিত্ত হইয়) এই বিষয়ে তথ্যসংগ্রহের কার্যে আত্মসমর্পণ করিনেন। তারপর গভীর পরিশ্রম



Leave a Comment