চরণ ছুঁয়ে যাই | Charan Chuye Jai

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চরণ ছুঁয়ে যাই ১৫ বাদলকাকুর মতন মানুষের কথা নতুন প্রজন্মের মানুষ জানতেই পারবে না। aie বছরের সীমানায় এসে বুঝতে পারি, অশেষ ভাগ্য না হলে AMAMSA মতন মানুষের সাম্নিধ্য পাওয়া যায় না। বাঙালির ঘরে ঘরে কত অবিশ্বাস্য চরিত্র রয়েছেন ভাবলে বিস্ময় বোধ হয়। বাদলকাকুর ব্যাপারটা মোটামুটি এইরকম-_মুগকল্যাণ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে ভাগ্য সন্ধানে হাওড়ায় আসেন এবং কোনো কিছু যোগাযোগ করতে না পারায় পিটম্যান “are শেখেন। এমন পরিচ্ছন্ন এবং অসাধারণ স্টেনোগ্রাফার ইংরেজ যুগেও বিরল ছিল | “are face ছোট্ট এক বিদেশী প্রতিষ্ঠান 'কালামাজু'-তে কাজ নেন | সেখানেই ভক্ত হয়ে ওঠেন অফিসের প্রধান লিভিংস্টোন সাহেবের । এই লিভিংস্টোন সাহেব স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নিলেও বোস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং দু'জনের পত্রালাপ চলতো নিয়মিতভাবে । লিভিংস্টোন মাসে দুটি চিঠি লিখতেন, বাদলকাকু লিখতেন দুটি | এই পর্বের শেষ চিঠিটি লেখেন লিভিংস্টোন-দুহিতা, “প্রিয় মিস্টার বোস, আপনার চিঠি গতকাল এসেছে। দুঃখের সঙ্গে জানাই গত সপ্তাহে আমার বাবা এবং আপনার বন্ধু FAA পরলোকগমন করেছেন | আপনার নিয়মিত চিঠি তাঁকে ভারতবর্ষের সঙ্গে যুস্ত রেখেছিল, মৃত্যুশয্যাতেও তিনি কলকাতার চিঠির জন্যে অপেক্ষা করেছেন।” লিভিংস্টোনের wee হলে কী হয়, বাদলকাকু ছিলেন কট্টর স্বদেশী ৷ তিনি বলতেন, “ব্যবসায়ী ইংরেজ এবং শাসক ইংরেজ এক নয়। ইংরেজ মস্ত ভুল করেছিল ব্যবসায়ীর ভূমিকা অবহেলা করে শাসকের iS . বসে।” বাদলকাকুর কথা যে মিথ্যে নয় তা একসময় প্রমাণিত হয়েছিল | কারণ প্রকৃত কুশলী ইংরেজ প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতবর্ষে অবিশ্বাস্য ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করেছিল সাতচল্লিশ সালের পরে। বাদলকাকু ছিলেন আদর্শবাদী। ছোটভাইকে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার অভিলাযে নিজে বিয়ে করলেন না | তাঁকে কট্টর নীতিবিদও বলতে পারেন। সিগারেট খেতেন না, মদ স্পর্শ করতেন না, এমনকি বাড়িতে চায়ের ব্যবস্থাও ছিল না। একবার শুধু এমার্জেন্সি কাপ কিনেছিলেন | লিভিংস্টোন সাহেব বাড়িতে আসতে পারেন বলে। বাদলকাকু ছিলেন HST গান, সস্তা রুচির চিরশত্র। প্রখর নীতিজ্ঞান ছিল। হেঁটে হাওড়া থেকে কলকাতার BRS রোডে Bi ক্রতেন.; প্রায় অর্ধ ETE ফ্লেক্সমেঞ্জ একদিনও লেট



Leave a Comment