জাতি-সংগঠন | Jati Sangathan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জাতি-সংগঠন উৎপাদন করে এবং সেই সঙ্গে এ সব জনপদের ইতিহাসের গতিও বিভিন্ন হওয়ায়, ভার তর বিভিন্ন প্রদেশে পৃথক পৃথক জাতির অত্যু- দয় হয়। এই প্রকারের ক্রমবিকাশের দ্বারাই বর্তমানে “বাঙালী,” “হিন্দুস্থানী”, “মারাগী”» “পাঞ্জাবী” প্রভৃতি বিভিন্ন “জাতির” উৎ- পত্তি ঘটিয়াছে। ইহাদের মধ্যে অনেক জনপদের অধিবাসীরা স্বীয় ভাষাকে উচ্চাঙ্গের চর্চিত ভাষাতে পরিণত করিয়] ও নিখিল ভারতীয় এক কেন্দ্রীভূত রাজনীতিক ইতিহাসের গতি হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া প্রাদেশিক ইতিহাসের বিবর্তন দ্বারা প্রাদেশিক একজাতীয়ত্ব লাভ করিয়াছে | এই কারণ বশতঃ আজ বাঙালী, আসামী, উড়িয়া, মারাঠি প্রভৃতির মধ্যে এত পার্থক্য বোধ হইতেছে | ভাগ্যচক্ররের পরিবর্তন বশতঃ বর্তমান যুগে ভারত আবার একছত্র শাসনাদীনে আমসিয়াছে। আজ এক ইতিহাস ও চর্চার সহিত এক ভাগ্য নিয়োজিত হওয়াতে ভারত আবার একজাতীয়ত্ত লাভের প্রয়াসী হইতেছে। আজ সর্বপ্রদেশের ইতিহাসের গতি একই দিকে পাবিত হইতেছে, এবং সকলকার স্বার্থ এক; সেই জন্যই ভারত এক-জাতীয়তা লাভাকাজ্জী। কিন্তু অন্যদিকে প্রাদেশিক জাতীয়তা নান] কারণ বশতঃ দৃঢ়ভাবে গঠিত হইতেছে, হয়ত এইজন্য বর্তমান সময়ে নিখিল ভারতের লোকবৃন্দকে কেন্দ্রী- ভূত এক জাতিতে পরিণত করা সম্ভব হইবে না, হয়ত ভারত বিভিন্ন প্রাদেশিক জাতির “সংযুক্ত রাজ্যে” পরিণত হইবে; কিন্তু ইহা ভবিষ্যতের ইতিহাসের গর্ভে নিহিতি রহিয়াছে। ভবিষ্যতের ইতিহাসের গতির yr ইহা নির্ভর করে। ১৩



Leave a Comment