নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচনাবলী [খন্ড-১] | Narayan Gangopadhyay Rachanabali [Vol. 1]

চক্রবাল আশ্বিন মামেই এবার বড় নদীর উপর দিয়া কুয়াশা নামিতে স্তরু হইয়াছে । এ অঞ্চলে এমনটা বড় দেখা যায় না, তবু ইহার মধ্যেই বাতামে শীতের আমেজ্জ লাগিতেছে একটু একটু করিয়া। সকালে ঘুম ভাড়িয়া জানালা দিয়া শিশির-ভেজা মাঠেব দিকে চাহিলে মনে সয়, কেমন একটা ঝাপসা আচ্ছন্নতায় শিশিরসিক্ত পৃথিবীটা ডুবিয়া আছে। প্রথম ay বাতাস বন্ধ LVN WAT গরমে ছটুফট করিতে হুইলেও অন্ধকারের রঙ ফিকে হইয়া] আসিবার মঙ্গে মঙ্গেই একটা শিশিরে ঠাণ্ডায় ভারী হইয়া ওঠে--কাপড়খানাকে ভালো করিয়া গায়ে জডাইয়া নিতে হয়। শেফালির মিষ্টি গন্ধের মঙ্গে শিশিরের মাটি-মিশ্রিত tee ভাগ্য SICA | ; আড়িয়ল খা ব্যায় যে কূপে কুলে ভরিয়া উঠিয়াছিল, মে জল এখন প্রত্যেকদিন ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে নামিয় চলিয়াছে। বর্ষার সময় স্টিগারটা একেবারে মোজা (BRAG বোর্ডের বড় রাস্তাটার গায়ে Aihara লাগে, প্যাডলের মুখ উছলাইয়া-ওঠা জল আর তক্তার ঘা খাইতে খাইতে রাস্তাটা খাড়াখাডিভাবে অনেকখানিই জলের মধ্যে wrfta পড়িয়াছে, ঝুরো মাটি আর ঘামের শিকড নদীর বাতামে তির তিন্ন করিয়| দোলে | জল কমিবার মঙ্গে সঙ্গেই মেখানে আর Peart cater করিবার উপায় থাকে ai) তখন বী-হাতি আরো অনেকখানি Alam আমিয়| একেবারে মাহেবপুত্র হাটের নিচে যেখানে পলিমাটির দীর্ঘ আস্তাণ ফেলিয়া নদী তাহার চিহ্ন রাখিয়|৷ গেছে, মেথানেই স্টিনারটাকে ভিড়িতে aa শেষবাত্রির 'অস্পট কুয়াশায় অনেকগুলি মানুষ আগিয়! এখানে ভিড় করিয়াছে; ঠ্টিমারের জন্যই অপেক্ষা করিতেছে তাহারা | এ লাইনের এই জলযানগুলির আর যত HPs থাকুক, নিয়মান্গবতিতার অপবাদ তাহাদের অতি বড় শত্রুতেও দিতে পারে না। যেদিন নদীর বুকে খন হইয়া হলদে কুয়াশা SISA পড়ে, Wifes Aatat আলো মেই নিবিড় জমাট আস্তরণ ভে করিয়৷ দুপাশের তাঁরতট তো দূরে থাক--মামনের দশ হাত পথ অবধি দেখিতে পায় না, Cafe WONG করিয়| মন্ত একটা লোহার cater জলে নামাইয়া দিয়] হয়তো! hates সময়েব জন্য মধ্য নদীতে স্তব্ধ হইয়া থাকে । অথবা 'এ Spe মিলে-এ না” বলিয়া সুর টানিতে টানিতে হঠাৎ যখন ডুবিয়া-থাকা বালুচরের গায়ে ঘম করিয়৷ Pacey চাকা ডুবিয়| যায়, তখন জোয়ার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা Sher aM থাকা ছাড় আর গত্যস্তর নাই। যাত্রীদের যতখানি বিড়ম্বনা তাহার চাইতেও বেশি বিড়ম্বন৷ যাহারা আগ ASSN নিতে আমে SACHA | এই কথাই আজও চলিতেছিল। মুকুন্দ বলিল s দেখছ হে, আবার কেমন বিশ্রী কুয়াশা