জিজ্ঞাসা | Jigyasa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
AST 9 উপস্থিত হইল WA) জগদ্‌-যন্ত্রকে এইরূপে ব্যাবেজ সাহেবের কল্পিত peta সহিত তুলনা করা যাইতে পারে । জগদ্-যন্ত্র আপাতত: বিকল বোধ হইলেও বস্তুতঃ নিয়মের অধীনতা এড়াইতে পারে না। আর একটা ব্যাপকতর নিয়মের অধীন হয় মাত্র । আমরাও বলিতেছি তাহাই । আমাদের ভূয়োদশন কেৰল সমন্বীর্ণ- দেশব্যাপক, সঙন্ধীর্ণকালব্যাপক নিয়মের বিষয়েই জ্ঞান জন্মায় । তদপেক্ষা ব্যাপকতর নিয়ম, যাহার ক্ষেত্রের পরিসর অধিক, ততসম্বন্ধে ভুয়োদর্শন কিছুই বলিতে পারে না। আমাদের অভিজ্ঞতা যদি সীমাবদ্ধ না হইত, তাহা হইলে আমরা সাহসের সহিত নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারিতাম, অমুক সময়ে অমুক ঘটনা ঘটবে। কিন্তু তাহা যখন পারি না, তখন গণনামাত্রই ন্যূুনাধিক পরিমাণে অনিশ্চিত না হইয়া পারে না। তবেই দেখা গেল, প্রক্কৃতি যে চিরকালই আমাদের বর্তমান- জ্ঞানানুমত প্রচলিত পরিচিত নিয়মে চলিবে এরূপ বলিবার আমাদের অধিকার নাই | প্রকৃতির কিয়দংশ চিরকাল গণনার বাহিরে থাকিবে; আমাদের গণনা সময়ে সময়ে ব্যর্থ হইবে। তাই বলিয়া কি বৈজ্ঞানিকের ' অবলম্বিত পদ্ধতি দূষিত ? বলা বাহুলা প্রকৃতির নিয়মানুবপ্তিতায় বিশ্বাস রাখিয়। বৈজ্ঞানিক Stata সমুদয় ভবিষ্যৎ গণনা সম্পাদন করেন | এই সত্য যদি অমূলক হয়, তবে বিজ্ঞানের কোন গণনাতেই বিশ্বাস স্থাপন চলে না। বিজ্ঞানের অবলম্বিত পদ্ধতি অশ্রদ্ধেয় হইয়া পড়ে | আমরা ততদূর বন্ধি না" কালের আছি নাই, আকাশের সীমা নাই, জড়ের বিনাশ ate, শক্তির সুষ্টি নাই, এই কথাগুলাও যেমন এক হিসাবে সত্য; ches নিয়মের ব্যত্যয় হয় না, প্রকৃতির খেয়াল নাই, এটাও কতকটাঁ সেইরূপ হিসাবে সত্য | a6, বৈজ্ঞানিকের অবলম্বিত প্রণালী ও সাধারণ মানুষের জীবন-



Leave a Comment