For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬ বঙ্গদর্শন পরম্পরা বিচারণারও পরিচয় দিয়েছে। অক্ষয়কুমারের “বাহ্য বস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ
বিচার”-এর মতো বই এই পত্রিকাতেই ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে স্মরণীয়
এই যে মানবতত্ত্ব আলোচনার সূত্রপাত হল, Sect '“বঙ্গদর্শন”-এ প্রাথমিক ভাবে,
পরে ধর্মতত্ত্বে পরিণতরূপে তার বিস্তার। তাছাড়া “তত্ত্ববোধিনী*-তে সমকালীন বিষয়ের
আলোচনাও দেখা গিয়েছে। সম্ভবত সেটা অক্ষয়কুমারের প্রভাবেই। সমকালীন বিষয় নিয়ে “সোমপ্রকাশ*-এর পরিকল্পনা। “সোমপ্রকাশ' সাহিত্য পত্রিকা
নয়, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ঘটনা নিয়ে এতে প্রবন্ধাকারে আলোচনা হত। ১৫
নভেম্বর (> অগ্রহায়ণ ১২৬৫ বঙ্গাব্দ) ১৮৫৮ MBH এর প্রকাশ, ১২৯৩ বঙ্গাব্দ
অর্থাৎ ১৮৮৬ পর্যন্ত চলে। বিনয় ঘোষ লিখেছেন, “সোমপ্রকাশ-এর আগে বাংলা সাময়িকপত্রে সামাজিক জীবনের ব্যাপক ও বিস্তারিত
আলোচনা বিশেষ হত না। ... সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি,
প্রত্যেকটি বিষয়ে “সোমপ্রকাশ' যে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়, তার সুর ও ভাষা পূর্বেকার
ধারা থেকে একেবারে স্বতন্ত্র?” 'বঙ্গদর্শন'-এর আগের এই পত্রিকাগুলি সমকালীন সমাজ-চাঞ্চল্যের সাক্ষ্য বহন
করছে। এই চাঞ্চল্যের কারণ বিদেশি রাষ্ট্রশাসনের ফলে অর্থনৈতিক পটপরিবর্তন।
এসব পত্রিকায় সে সবই প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে আর-একটা বৃহত্তর চেতনা
প্রচ্ছন্ন থেকে মানুষের নীতি ও আদর্শরূপে কাজ করে যায়। তার স্বরূপ বোঝাবার
জন্য উচ্চতর যুক্তিবোধের প্রয়োজন 'বঙ্গদর্শন”-এ বঙ্কিমচন্দ্র সেই দিকে বাঙালির মনকে
চালিত করবার চেষ্টা করেছিলেন। এর জন্য মানুষের ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতির
IAT, ন্যায়-অন্যায়ের নীতিনির্ধারণ, নিত্য পরিবর্তনশীলতার মধ্যে একটা মূল্যমানের
অবলম্বন থাকা চাই। উনিশ শতকের প্রথমার্ধের পত্র-পত্রিকাগুলি পাশ্চাত্য সভ্যতার
অভিঘাত বহন করছে, কিন্তু এই অভিঘাত এবং সামাজিক অস্থিরতার প্রেরণা ও
তার স্বরূপ নিয়ে “বঙ্গদর্শন”-এর পূর্বে কেউ ভাবেনি। বন্কিমচন্দ্রের মনে এই জিজ্ঞাসা
জেগেছিল, তিনি পত্রিকার নাম “বঙ্গদর্শন” দিয়ে বাঙালির মনে এই জিজ্ঞাসা জাগিয়ে
তুলতে চেয়েছিলেন। এসব কথা বষ্কিমচন্দ্র অবশ্য MMBC বলেননি, বরং “বঙ্গদর্শন'-এর পত্রসূচনায়
তিনি জোর দিয়েছেন মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশের প্রয়োজনীয়তার উপর। বাংলা
ভাষার দ্বারাই যে সমাজের শিক্ষিত নাগরিক এবং ইংরেজিতে অনভিজ্ঞ সাধারণ
মানুষের মধ্যে মনের যোগ সাধন করা যায়--এ বিষয়ে তিনি আমাদের অবহিত
রাখতে চেয়েছেন। বন্কিমের এই প্রয়াসের মূলে কী উদ্দেশ্য ছিল সেটা যথাযথ বুঝে
নিতে হবে। ১৮৭২-এর মার্চে তিনি বহরমপুর থেকে “BoE মুখার্জিকে যে চিঠি
লেখেন তাতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে বলছেন, “... [have myself projected a Bengali Magazine with the object of making it