অর্থনীতির পথে | Arthanitir Pathe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১ অর্থনীতির পথে ইতিহাসে নৃতন আলোকপাত করলেন, রাধাকমল মুখোপাধ্যায় গ্রামীণ কুটির- শিল্পের দিকে নৃতন করে আমাদের চোখ ফেরালেন। যে 'ইকোলজি বা পরিবেশতত্তব নিয়ে আজকাল এত হৈ চৈ তার কথা আমর রাধাকমলের মুখেই প্রথম শুনি | ব্রিজনারায়ণ লিখলেন জনসংখ্যার উপরে, কে. টি. শাহ তাঁর ছাত্রদের নিয়ে ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যার উপরে কাজ করলেন এবং তাঁর নিজের লেখার তীক্ষতার জন্য সরকার ও শিল্পপতি-মমাজে বিরাগভাজন হলেন। আর কলকাতায় কয়াজী লিখলেন কুড়ির দশকের তিনটি প্রধান aaa) নিয়ে-_ভারতীয় শিল্পের জন্য সংরক্ষণ-শ্ুদ্কনীতি, ভারতীয় মুদ্রা-ব্যবস্থার একটা স্থায়ী কাঠামো গঠন এবং মুদ্রানীতির AB পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক স্থাপন | একদিকে পাশ্চাত্য ভাবধারায় অল্গপ্রাণিত নূতন কালের অর্থনীতির অধ্যাপকেরা বেশি জোর দিলেন ভারতের শিল্পায়নের উপরে-_ভারতে পাশ্চাত্য ধরনের একটা শিল্পবিপ্ণ আনবার উপরে as সময়েই একটা বিপরীত ধার দেখা দেয় মহাত্মা গান্ধীর Ware | এই রচনাগুলি নানা স্থানে বিক্ষিপ্ত, কিন্তু এর বেশির ভাগই পাওয়া যাবে কুড়ির দশকের “ইয়ং ইণ্ডিয়া? পত্রিকায় গান্ধীজীর স্বাক্ষরিত নানা প্রবন্ধে। মহাত্মা গান্ধীর মতবাদের উপরে আমাদের নূতন করে নজর পড়েছে, কিন্তু এটা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, ঠিক যে সময় TAIT গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক জীবনে ভাস্বর, সে সময়ে তার অদাধারণ প্রতিষ্ঠা সত্বেও তিনি তার মতবাদ দেশের অর্থনীতির পণ্তিতসমাজকে এ্রহণ করাতে পারেন fai এমন কি যারা তার প্রখ্যাত শিষ্য ছিলেন-_-জহরলাল নেহেরু বা স্থভাষচন্দ _-তীরাও গান্ধী-অর্থনীতিতে পুরোপুরি বিশ্বাস করতেন না। দ্বিতীয় যুদ্ধের ঠিক আগে কংগ্রেস যে জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি নিযুক্ত করেছিলেন-_জওহরলালকে সভাপতি এবং কে. টি, শাহকে সেক্রেটারি করে--সে কমিটি প্রধানত শিল্পবিপ্লবই চেয়েছিলেন। এই কমিটির আদর্শের মধ্যে একটা পরস্পরবিরোধী মিশ্রণ ছিল -_ইংল্যাণ্ডের শিল্পবিপ্লবের পাশে জার্মান ও আমেরিকান উন্নতিকে ate করিয়ে। জাপানের দ্রুত উন্নতিতে মুগ্ধ হয়ে এবং সোভিয়েত রাশিয়ার পরিকল্পনাতে উৎসাহিত হয়ে এই কমিটি য়ে সব প্রস্তাব করেছিলেন তাতে ছোট চাষী ও কুটিরশিল্পের স্থান ছিল, কিন্তু মে স্থান দ্বিতীয় স্তরে, প্রথম স্তরে Ay | ১৯৩*-এ এল পৃথিবীব্যাপী মন্দা । শিল্পসংরক্ষণ নীতির ফলে ভারতীয় শিল্পে;



Leave a Comment